সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: দুর্গা পুজোর অন্যতম অঙ্গ হল কুমারী পুজো। তন্ত্রমতে কুমারীকে সাক্ষাৎ যোগিনী রূপে উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন পুরাণে কুমারীর স্তুতিবাচক নানা পদ রচনা করা হয়েছে। বাংলার দুর্গাপুজোয় বহু জায়গায় সাড়ম্বরে কুমারী পুজো করা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী- এই তিনদিনই বা কোনো একদিন কুমারী পুজো করা যেতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অষ্টমী ও নবমী তিথিতে কুমারী পুজো হয়ে থাকে। এক বছর থেকে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত ঋতুমতী না হওয়া বালিকাদের কুমারী রূপে পুজো করা যায়। এক এক বয়সের কুমারীকে এক এক নামে পুজো করা হয়।
১ বছর - সন্ধ্যা
২ বছর- সরস্বতী
৩ বছর - ত্রিধা
৪ বছর - কালিকা
৫ বছর - সুভগা
৬ বয়স - উমা
৭ বছর - মালিনী
৮ বছর - কুব্জিকা
9 বছর - কালসন্দর্ভা
১০ বছর - অপরাজিতা
১১ বছর -রুদ্রাণী
১২ বছর - ভৈরবী
১৩ বছর - মহালক্ষী
১৪ বছর - পীঠনায়িকা
১৫ বছর - ক্ষেত্রজ্ঞা
১৬ বছর - অম্বিকা
পুজোর বিধানে বলা হয় পাদ্য, অর্ঘ্য, কুঙ্কুম, চন্দন দিয়ে কুমারীকে পুজো করতে হয়। পুজোর আগে কুমারী কে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে পায়ে আলতা ও কপালে সিঁদুরের টিপ দেওয়া হয়। এরপর কুমারীকে দেবতা জ্ঞানে নানান উপাচারে পুজো করা হয়। পূজক ও ভক্তগণ কুমারীর মধ্যেই দেবীর প্রকাশ অনুভব করেন।