নয়াদিল্লি: এনডিএ ছাড়লেন উপেন্দ্র কুশওয়া। কেন্দ্রের মন্ত্রিত্বও ত্যাগ করেছেন তিনি।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির (আরএসএলপি) সভাপতি কুশওয়া কেন্দ্রের শাসক জোটের বড় শরিকের ওপর বেশ কিছুদিন ধরেই ক্ষুব্ধ। বিহারে ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে কুশওয়াকে দুটির বেশি আসন দেওয়া হবে না বলে বিজেপি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়ায় অসন্তুষ্ট তিনি। এর আরেকটা কারণ, অপর শরিক নীতীশকুমারকে পাশে রাখতে বিজেপি একমত হয়েছে যে, তারা ও নীতীশের দল জেডি (ইউ) সমসংখ্যক আসনে লড়বে। সব মিলিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রকাশ্যে বিজেপি ও নীতীশকে তোপ দাগছেন কুশওয়া। আজ চরম পদক্ষেপ করে এনডিএ-তে ভাঙন ধরালেন তিনি।



প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো ইস্তফাপত্রে কুশওয়া তাঁর নেতৃত্বে তিনি হতাশ, তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি।
তাঁর দলের সূত্রে খবর, কুশওয়া লিখেছেন, গরিব, অত্যাচারিতদের জন্য কাজ করা নয়, বিরোধীদের যেন তেন প্রকারেন খতম করাই এই সরকারের অগ্রাধিকার, এটা দুর্ভাগ্যজনক।
সাংবাদিক সম্মেলন করে কুশওয়া এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করে বলেন, অন্য রাস্তা খোলা রেখেছি। পরে রাহুল গাঁধীর সঙ্গেও তিনি দেখা করতে পারেন বলে খবর।
নীতীশকুমারকে আক্রমণ করেও তিনি তাঁর বিরোধী বলে অভিযোগ করেন কুশওয়া।

আজ সকালেই আরএসএলপি-র এক প্রথম সারির নেতা কুশওয়া আজই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত জানাবেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদও ছাড়বেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
আগামীকালই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসছে। তার আগের দিন কুশওয়ার বিজেপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় বিহারেও রাজনৈতিক সমীকরণে বদলাতে চলেছে। বিহারে ৪০টি লোকসভা আসন। কুশওয়া এবার লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি, কংগ্রেসের হাত ধরে বিহারে বিরোধী শিবিরের পাল্লা ভারী করতে পারেন বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে।