তিনি বলেন, ‘ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর ২০ জনের মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত আহত হয়েছিলাম, খারাপ লেগেছিল।‘ প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। আহত হন অনেকে। মারা গিয়েছে চিনের সেনাবাহিনীর কয়েকজনও। তবে সেই সংখ্যাটা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। ১৯৭৫ সালের পর সীমান্তে চিনের সঙ্গে এত বড় সংঘর্ষ আর হয়নি। এ বারের সংঘর্ষের পর দুই পক্ষের মধ্যে ইতিমধ্যেই চার পর্ব কথা হয়েছে।
৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত ভারত নিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পম্পেও। ‘ইন্ডিয়া আইডিয়াজ সামিট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অ্যাপ নিষিদ্ধ করাটা একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ এগুলো ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক।‘ ভারত-আমেরিকার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা জরুরি। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কাজকর্মকে চ্যালেঞ্জে ফেলার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। এখনই সাবধান না হলে আমাদের পরিকাঠামো, নতুন প্রকল্প, আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য, সবই বিপদে পড়ে যাবে।‘
পম্পেও বলেন, ‘মার্কিন নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম অংশীদার ভারত। পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশনীতির অন্যতম স্তম্ভ ভারত। ভারতের সঙ্গে কথা বলার সময় সেটা আর নিছক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থাকে না। সমমনস্ক গণতান্ত্রিক দেশগুলির পাশে থাকা, গ্লোবাল পাওয়ার, সকলের সঙ্গে মৈত্রী রাখা ইত্যাদি নিয়েও কথা হয়।‘