হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসক উমেশ প্রসাদের অধীনে ওই ব্যক্তি তিন সপ্তাহ ধরে ভর্তি রয়েছেন। সোমবার তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসক উমেশ প্রসাদের গোটা টিমকে সোমবার থেকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। উমেশ প্রসাদের অধীনে দুজনে ভর্তি থাকলেও লালুপ্রসাদ রয়েছেন পেয়িং ওয়ার্ডে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে। উমেশ প্রসাদের টিম ছাড়াও হাসপাতালের সমস্ত ডাক্তার ও মেডিক্যাল স্টাফদের নমুনা সোমবারই সংগ্রহ করা হয়েছে।
যেহেতু ওই চিকিৎসকই আরজেডি সুপ্রিমোর চিকিৎসা করছিলেন তাই সংক্রমণের আশঙ্কা কোনওভাবেই এড়াতে পারছেন না তিনি। চিকিৎসকদের পর, পরীক্ষা করা হতে পারে লালুর লালারসও। সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসায় চিন্তিত লালুপ্রসাদের পরিবার। তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদব টুইট করে লেখেন, 'বাবা যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সেখানে করোনা সংক্রমণের খবর ভীষণ উদ্বেগের। যদিও তাঁর যথোপযুক্ত সুরক্ষা নেওয়া হচ্ছে।'
করোনার আবহের মধ্যে ঝাড়খণ্ড সরকারের কাছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্যারোলের আবেদন করেছে আরজেডি। সংক্রমণের ফলে বিপন্ন হতে পারে লালুপ্রসাদের জীবন, ট্যুইটারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় আরজেডির তরফে। যদিও এ নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বিরসা মুণ্ডা জেলে রয়েছেন লালুপ্রসাদ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১৮-র আগস্ট থেকে তিনি আরআইএমএস-এ চিকিৎসাধীন।