পটনা: লোকসভা ভোটে আরজেডির বিপর্যয়ের পর লালুপ্রসাদের দুই ছেলে তেজস্বী ও তেজের মধ্যে মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। দলের এই হতাশাজনক ফলাফলের জন্য পরোক্ষভাবে তাঁরা একে অপরকে দায়ী করেছিলেন। সেই দোষারোপের পর্ব পেরিয়ে ফের একসঙ্গে চলার ইঙ্গিত দিলেন তাঁরা।
বুধবার রাতে পটনা জংশন সংলগ্ন দুধের বাজার পুর কর্তৃপক্ষের ভেঙে ফেলার অভিযানের প্রতিবাদে বেশ কয়েক ঘন্টা প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা গেল তেজস্বী ও তেজকে।
লালু প্রসাদের বড় ছেলে তেজের দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ, স্তাবকদের ভিড় তাঁর ভাই তেজস্বীকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভুলপথে চালিত করে। এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে।
তেজের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ্যে তেজস্বীকে কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। তবে দাদার এই লাগাতার অভিযোগে তিনি হতাশ বলেই খবর। লোকসভা নির্বাচনে তেজের ভূমিকা দলের পক্ষে অনুকূল ছিল না বলেই আরজেডি-র অন্দরের সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, এই প্রথম লোকসভা নির্বাচনে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে আরজেডি-কে।
আরজেডি-র প্রতিষ্ঠাতা লালুপ্রসাদ বর্তমানে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় রাঁচিতে সাজার মেয়াদ কাটাচ্ছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাঁর পরিবারের হাতে। কিন্তু লালুপ্রসাদের পরিবারের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব দলের কর্মীদের মনোবলে প্রভাব ফেলেছে।
গত বুধবার অসুস্থ ও জেলবন্দি লালুপ্রসাদের জায়গায় তেজস্বীকে আরজেডি-র জাতীয় সভাপতি করার জোরাল দাবি তুলেছেন দলের বিধায়কদের একাংশ। তেজস্বী ও রাজনীতিতে সক্রিয় তাঁর দাদা তেজ ও বড় বোন তথা রাজ্যসভা সাংসদ মিসা ভারতীর মধ্যে পারিবারিক সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে এই দাবি উঠেছে।
এরইমধ্যে বুধবার রাতে দুধের বাজার ভেঙে ফেলার অভিযানের প্রতিবাদে দুই ভাইয়ের একসঙ্গে পথে নামার ঘটনা খুবই তাত্পর্য্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রেল স্টেশন সংলগ্ন জনবহুল ও ঘিঞ্জি রাস্তায় জবরদখল উচ্ছেদের জন্য বেশ কিছু দোকান ভেঙে ফেলা হয়। এরই প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দলের বহু নেতাও। গভীর রাত পর্যন্ত তাঁদের ধর্না চলে।
পুর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভেঙে দেওয়া দোকানগুলি রেল স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট কিছু দূরত্বে স্থানান্তরের লিখিত আশ্বাস পাওয়ার পর এই ধর্না ওঠে।