নয়াদিল্লি: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তাঁকে দেখতে নয়াদিল্লির এইমসে গিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।


গতকাল এইমসে তাঁকে দেখতে যান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে।

জেটলির বয়স ৬৬। শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক অস্থিরতার জেরে ৯ তারিখ এইমসে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীর ভাল নয়, এখন তিনি আইসিইউ-তে। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দল তাঁর দিকে নজর রেখেছেন। ১০ তারিখের পর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কোনও মেডিক্যাল বুলেটিন বার করেনি এইমস।

রাষ্ট্রপতি হাসপাতালে আসেন গতকাল বেলা বারোটার আশপাশে। আর রাত সোয়া এগারোটা নাগাদ আসেন অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথ। সে সময় হর্ষ বর্ধন ও অশ্বিনী চৌবে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।

নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন অরুণ জেটলি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সামলেছেন তিনি, দেখেছেন প্রতিরক্ষা। মোদি সরকার যখনই কোনও সমস্যায় পড়েছে ট্রাবলশ্যুটার হিসেবে উঠে এসেছেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই জেটলি অসুস্থ, এ বছর ভোটেও লড়েননি। মে মাসেও একবার এইমসে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। গত বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই জেটলি অসুস্থতার জেরে অফিস যাওয়া বন্ধ করে দেন।

২০১৪-র সেপ্টেম্বরে ওজন কমানোর জন্য বেরিয়াট্রিক সার্জারি করান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ডায়াবিটিসে ভোগার ফলে ওজন বেড়ে যাচ্ছিল তাঁর।