ঘটনাচক্রে যে লখনউয়ে পুলিশের গুলিতে এই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ, সেখানকার সাংসদ রাজনাথ।
আজ সকাল থেকে ঘটনাটির তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ হতে থাকার পর মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের সাফাই, এটা এনকাউন্টার নয়। অপরাধী রেহাই পাবে না, প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করা হবে।
ঘটনার সময় বিবেকের এসইউভি-তে ছিলেন সানা খান নামে তাঁর এক সহকর্মী। তাঁর দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে ২ জন কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালের গভীর রাতের ঘটনার পরই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ও পি সিংহ ঘটনাটিকে অপরাধ আখ্যা দিয়ে জানিয়ে দেন, দুজন কনস্টেবলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এসএসপি কলানিধি নইথানি অবশ্য দাবি করেন, টহলদারির দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা বিবেকের এসইউভি তাঁদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারলে জখম হন, বিবেককে গাড়ি থামাতে বলা হলেও তিনি থামাননি। উল্টে তিনি গাড়ির গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সন্দেহ হওয়ায় কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরি গুলি চালান। গুলি উইন্ডস্ক্রিন ভেদ করে যায়, গাড়িটি একটি পিলারে গিয়ে ধাক্কা মারে।
এসএসপি আগে বলেছিলেন, বুলেটের ঘায়ে না গাড়ি পিলারে ধাক্কা মারায় বিবেকের মৃত্যু হয়েছে, তা ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে। অটোপসি রিপোর্টে অবশ্য নিশ্চিত করা হয়েছে যে, গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত কনস্টেবল আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর দাবি করে বিবেকই তাঁকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছেন।