ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের নিমাচ জেলায় ৪৫ বছর বয়সি এক আদিবাসী ব্যক্তির উপর নৃশংস অত্যাচার। তাঁকে চোর সন্দেহে ধরে বেধড়ক মারধর করার পর একটি ট্রাকের সঙ্গে বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অত্যাচারের জেরে মারাত্মক জখম হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। খুনের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম কানহাইয়া ভীল। চোর সন্দেহে তাঁকে মারধর করে একদল লোক। তাঁর উপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়। খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। সেখান থেকে তাঁকে নিমাচ জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ প্রসঙ্গে নীমাচের অতিরিক্ত সুন্দর সিংহ কানেশ জানিয়েছেন, ‘কানহাইয়া ভীল নামে ওই ব্যক্তির উপর অত্যাচারের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত কানহাইয়াকে মারধর করার পর দড়ি দিয়ে তাঁর পা একটি পিক-আপ ট্রাকের সঙ্গে বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মোট আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর অত্যাচার বন্ধ করা সংক্রান্ত আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নৃশংস ঘটনার ভিডিও ভাইরাল। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাতর আর্জি জানাচ্ছেন কানহাইয়া। কিন্তু একদল লোক তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার বদলে মারধর করছে। এরপর পায়ে দড়ি বেঁধে ট্রাকের সঙ্গে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই ঘটনা নিয়ে সরব। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বহু মানুষ।