চেন্নাই: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে কমিশনকে তুলোধনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের। আদালত বলেছে,  ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী একমাত্র নির্বাচন কমিশনই। কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত’।  


মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হঁশিয়ারি , ‘সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ২ মে ভোট গণনা বন্ধ করে দেব।’


হাইকোর্ট বলেছে, ‘ভোট প্রচার যখন চলছিল, তখন আপনারা কি অন্য গ্রহে ছিলেন! আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কোভিড প্রোটোকল নিশ্চিত করতে পারেনি কমিশন। গণনার দিন কোভিড প্রোটোকল মানা নিয়ে কী ভাবছে কমিশন? ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানাতে হবে কমিশনকে।’ নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছে, তখন রাজনৈতিক সভা সমাবেশের অনুমতি দেওয়ায় কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট।  ওই সব সভা-সমাবেশে কোভিড সংক্রান্ত বিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারায় কমিশনকে তিরস্কার করেছে হাইকোর্ট। এরপরই হাইকোর্ট মন্তব্য করে যে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন 'এককভাবে দায়ী'।


বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত'।


আদালতে শুনানির সময় কমিশনের আইনজীবী সওয়াল করেন যে,  করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর জবাবে আদালত বলে, 'যখন এই সব সভা, সমাবেশ চলছিল, তখন কি আপনারা অন্য গ্রহে ছিলেন?'


আদালত বলেছে, জনস্বাস্থ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এই বিষয়টি যে একটি সাংবিধানিক সংস্থাকে স্মরণ করিয়ে দিতে হচ্ছে, এটাই আক্ষেপের বিষয়। কেউ বেঁচে থাকলে তবেই তো গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করতে পারবেন।


প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বেঁচে থাকা এবং সুরক্ষা। এর পর রয়েছে সব কিছু।  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি সেনথিল কুমার রামামূর্তিকে নিয়ে গঠিত এই  বেঞ্চ ভোটের গণনার দিন কী ধরনের কোভিড ১৯ সংক্রান্ত বিধি মেনে চলা হবে, তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে নির্বাচন কমিশন ও তামিলনাড়ু মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বলেছেন। এই পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।


আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী শুনানি হবে ৩০ এপ্রিল। ওই দিনই পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হবে। তখনই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট হবে।