চেন্নাই: ‘টিকটক’ আর না। এবার নিষিদ্ধ করা হোক এই চাইনিজ অ্যাপ। কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল মাদ্রাজ আদালত। অভিযোগ, অডিও-ভিডিও বিনোদনের নেপথ্যে ‘টিকটক’ আসলে মদত দিচ্ছে পর্নোগ্রাফির দুনিয়াকে। পর্নোগ্রাফিকে উত্সাহ জোগাচ্ছে এই চাইনিজ অ্যাপ, যা যুব সমাজ ও শিশু মননে কু-প্রভাব ফেলছে। এই সতর্কতা জারি করেই কেন্দ্রকে চিনা অ্যাপ বন্ধের নির্দেশ দিল মাদ্রাজ আদালত।


‘টিকটক’ বন্ধের আর্জি জানিয়ে মাদ্রাজ আদালতে আবেদন করেছিলেন এক আইনজীবী তথা সমাজকর্মী মুথু কুমার। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বুধবার মাদুরাই বেঞ্চ একটি অন্তর্বতীকালীন নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র সরকারকে ‘টিকটক’ অ্যাপ নিষিদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে। ভারতে এই চাইনিজ অ্যাপ যেন কোনও ভাবেই ডাউনলোড করা না যায়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে মাদুরাই বেঞ্চ। একই সঙ্গে এই অ্যাপের কোনও ভিডিও যেন গণমাধ্যমেও সম্প্রচারিত করা না হয়, সেবিষয়েও তত্পর হতে বলা হয়েছে সরকারকে।


সম্প্রতি তামিলনাড়ুর তথ্য প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী এম মণিকন্দন জানিয়েছেন, ‘টিকটক’ বন্ধের জন্য তারা  ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন। প্রসঙ্গত, চাইনিজ কোম্পানি বাইট ডান্স জানিয়েছে, তারা ২০১১ সালের আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনেই কাজ করছে। মাদ্রাজ আদালতের নির্দেশিকার অপেক্ষা করা হচ্ছে, তা হাতে পেলেই গোটা বিষয়টি যাচাই করে দেখা হবে এবং সেই মতো বন্দোবস্তও করা হবে।


প্রসঙ্গত, স্রেফ ভারত থেকেই ৫ কোটি গ্রাহক রয়েছে ‘টিকটক’-এর। গোটা দেশেই এই চাইনিজ অ্যাপের  জনপ্রিয়তা দিনদিন আরও বাড়ছে। গত বছর জানুয়ারিতে শতাংশের বিচারে কেবল ৯.৫ শতাংশ টিনেজ-ই এই অ্যাপ ব্যবহার করত। এবছর তা এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ শতাংশ।


উল্লেখ্য, টিকটিক অ্যাপ বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চও। সংস্থার পক্ষ থেকে অশ্বিনী মহাজন ওই চিঠিতে শিশু মননে নীল ছবির কুপ্রভাব ও সামাজিক অবক্ষয়ের কথা তুলে ধরেছেন। যদিও চাইনিজ কোম্পানি বাইট ডান্স জানিয়েছে, ভারতীয় সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই তারা কাজ করবে। কোনও ভাবেই যেন স্বাভাবিক অবস্থার অবনতি না হয়, সেদিকও নজর রাখবে তারা।