মুম্বই: কুড়ি বা তিরিশ ফিটের বিশাল গণেশ মূর্তি চলেছে নিরঞ্জনের পথে। পিলপিল করছে জনতা। দড়িতে টান দিয়ে মূর্তি টানা চলছে। বিশাল জন সমাগম থেকে চিৎকার উঠছে, “গণপতি বাপ্পা মোরিয়া।”

প্রত্যেক বছর মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় উৎসব গণেশ পুজোর পরিচিত দৃশ্য। তবে এবার সেই চেনা ছবিটা দেখা যাবে না। করোনা পরিস্থিতিতে গণেশ মূর্তির উচ্চতা কমানোর আবেদন করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। পুজো উদ্যোক্তাদের সংগঠন গণপতি মণ্ডল সেই অনুরোধ মেনে নিয়েছে বলেই খবর।

মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। তাই গণেশ আরাধনায় ভিড়ে লাগাম পরাতে মরিয়া রাজ্য সরকার। মূর্তির উচ্চতা কমলে নিরঞ্জনের সময় বিপুল ভিড় কমানো যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। উদ্ধব ঠাকরের প্রশাসন চাইছে, গণেশ মূর্তির উচ্চতা তিন ফিট করা হোক। যদিও গণপতি মণ্ডল চাইছে পাঁচ ফিট উচ্চতার মূর্তি। দিন দুয়েকের মধ্যে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। মূর্তির পাশাপাশি কমানো হবে মণ্ডপের উচ্চতাও। তবে পুজো বন্ধ করার রাস্তায় হাঁটছে না প্রশাসন।

মহারাষ্ট্রের পথে হেঁটে কি দুর্গামূর্তির উচ্চতা কমানো হবে কলকাতা-সহ গোটা বাংলাতেই? সেই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। দুর্গামূর্তি মহারাষ্ট্রের গণেশের মতো অত বড় না হলেও, উচ্চতা নেহাত কম হয় না। বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রাতেও ভিড় হয় বিস্তর। করোনা পরিস্থিতিতে বাংলার দুর্গোৎসবও কাটছাঁট হবে বলেই পূর্বাভাস। তবে মূর্তির উচ্চতা কমানো হয় কি না, সেটাই দেখার।