এই অঞ্চলে ৭৯ বছরের শরদ পাওয়ারের আক্রমণাত্মক প্রচার ও সামনে থেকে দাঁড়িয়ে নেতৃত্বদানই দলের ভালো ফলের কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বেই দল এই অঞ্চলে বিজেপি-শিবসেনা জোটকে কড়া টক্কর দিতে সক্ষম হয়েছে।
রাজ্যে শরিক কংগ্রেসের তুলনায় এনসিপি যে ভালো ফল করবে, তা প্রত্যাশিত ছিল। ভোট গণনার প্রবণতাতেও সেই ইঙ্গিতই মিলেছে। রাজ্যে এবারই প্রথম এনসিপি-র জুনিয়র পার্টনার হিসেবে লড়াই করেছে। ১৯৯৯ থেকে টানা ১৫ বছর রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল এনসিপি-কংগ্রেস জোট।
এনসিপি সাতারা লোকসভা আসনের উপনির্বাচনেও এগিয়ে রয়েছে। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী তথা শিবাজীর বংশধর উদয়নরাজে ভোসালেকে পিছনে ফেলেছেন এনসিপি প্রার্থী শ্রীনিবাস পাতিল।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে দলত্যাগের হিড়িকের মধ্যেও এনসিপি সাতারায় তাদের দূর্গ অটুট রাখার জন্য ঝাঁপিয়েছিল। উদয়নরাজে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করার ফলেই সাতারা লোকসভা আসনের উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়েছিল। এনসিপি এবার পাওয়ারের দীর্ঘদিনের বন্ধু পাতিলকে এই আসনে প্রার্থী করেছিল। সাতারা আসনে এনসিপি প্রার্থী বিজেপি প্রার্থীর তুলনায় এক লক্ষেরও বেশি ভোটে এগিয়ে। দুদিন আগেই পাওয়ার বলেছিলেন, সাতারা আসনে উদয়নরাজে এক লক্ষের বেশি ভোটে হারবেন।
সাতারা লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে দুই প্রতিপক্ষ জোরাল প্রচার চালিয়েছিল। ভোট প্রচারের শেষদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাতারা উপনির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার সাহজ জোগাড় করতে না পারার জন্য পাওয়ারকে কটাক্ষ করেছিলেন। পাওয়ারও বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন।