নয়াদিল্লি: কাল ফের সুপ্রিম কোর্টে মহারাষ্ট্র-শুনানি। সকাল সাড়ে ১০টায় নির্দেশ জারি করবে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র-রাজ্য-ফড়ণবীশ-অজিত পওয়ারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট।
দেবেন্দ্র ফড়নবীশের শপথ নিয়ে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আস্থা ভোটের আর্জি জানায় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস। আগামীকালই জবাব তলব করে কেন্দ্র-রাজ্য-ফড়নবীশ-অজিত পওয়ার - এই চারপক্ষকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে দুটি চিঠি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। একটি বিজেপিকে সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপালের আমন্ত্রণ পত্র, অন্যটি ফড়নবীশের সমর্থন মেলার চিঠি।




মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের আবেদনের প্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় শুনানি। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এবং দেবেন্দ্র ফডণবীস ও অজিত পওয়ারের শপথ গ্রহণ অবৈধ দাবি করে বিরোধীদের দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু হয়  বিচারপতি এন ভি রমান্না, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে ।
এনসিপি-কংগ্রেস ও শিবসেনার পক্ষে সওয়াল করেন, দুই বর্ষীয়ান আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং কপিল সিব্বল। উল্টো দিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
অভিষেক মনু সিংভি প্রশ্ন তোলেন, সমর্থনের কোন চিঠি পেয়েছেন রাজ্যপাল? কেনই বা রাজ্যপাল তড়িঘড়ি শপথ নেওয়ালেন?

অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির সুরে সুর মিলিয়ে সিব্বল বলেন, রাজ্যপালের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট। আদালতের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গরিষ্ঠতা প্রমাণের আর্জি জানান তিনি।
অভিষেক মনু সিংভি বলেন, কর্ণাটকেও এক জিনিস দেখেছি, গরিষ্ঠতা প্রমাণ করুন।
রাজ্যপাল কারও নির্দেশে কাজ করেছেন, না হলে এমন হত না, বলেন সিব্বল।



অন্যদিকে বিজেপির আইনজীবী মুকুল রোহতগি দাবি করেন, এই ঘটনায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না। রাজ্যপালকে প্রশ্ন করতে পারে না আদালত। এই শুনানি রবিবার কেন হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিজেপির আইনজীবী মুকুল রোহতগি আদালতে আরও দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে কোনও নির্দেশ নয়, কোর্টের কাছে জবাব দেওয়ার দায় নেই রাজ্যপালের।


ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কায় দলীয় বিধায়কদের হোটেলে রেখেছে এনসিপি। বিধায়কদের জয়পুরে পাঠিয়েছে কংগ্রেসও। সূত্রের খবর, শরদ পওয়ারের সঙ্গে রয়েছেন ৪৯ জন। অন্যদিকে, অজিত পওয়ার সহ বিদ্রোহী বিধায়কের সংখ্যা ৪। ইতিমধ্যেই দলের বিধানসভার পরিষদীয় দলনেতা পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে অজিতকে। একইসঙ্গে দলের নেতা হিসেবে তাঁর হুইপ জারির ক্ষমতাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।