রাজ্যসভার এই এমপি কটাক্ষের সুরে বলেছেন, বিজেপিকে কোনও চরম সময়সীমা (আলটিমেটাম) দিচ্ছি না (সরকার গঠন নিয়ে)। ওরা বড় বড় লোক। একইসঙ্গে তিনি শিবসেনা চাইলে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলতে পারে বলেও জানিয়ে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দেন বিজেপিকে। বলেন, রাজ্যের মানুষ ৫০-৫০ ফর্মূলার ভিত্তিতে সরকার গঠনের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। রাউত গতকাল এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের সঙ্গেও দেখা করেন, যা থেকে জল্পনা ছড়ায়, তবে কি শিবসেনা বিকল্প বোঝাপড়ার রাস্তা খুঁজছে?
গতকালই শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের কথায় ইঙ্গিত ছিল, তিনি সরকার গঠনের অন্য রাস্তা খুঁজে দেখতে তৈরি। বিজেপির সঙ্গে ‘সমান ক্ষমতা বন্টনে’র ওপর জোর দিয়েও তিনি জানান, কংগ্রেস, এনসিপি-র সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ রাখছেন। গতকাল শিবসেনা পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচনের বৈঠকেও তিনি বলেন, ‘লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গে যেমনটি ঠিক হয়েছিল, সেই অনুসারে’ তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ সহ ‘ক্ষমতার সমান ভাগাভাগি’ চান। লোকসভা নির্বাচনের আগে আমার, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশের আলোচনায় সমান ক্ষমতা ভাগের সূত্র ঠিক হয়েছিল। আমরা সেইমতোই সব হোক চাই, তার বেশি কিছু নয়।
সেই বৈঠকে উদ্ধব নাকি ফঢ়নবিশের এই দাবিতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতা সমান ভাবে বন্টনের কোনও সূত্রই স্থির হয়নি। ফেব্রুয়ারি মাসে শিবসেনার সঙ্গে আসন রফার পর সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একটি ভিডিও দেখতেও তিনি বলেন দলীয় বিধায়কদের। বলেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, তিনি সমান ক্ষমতা ভাগের সূত্রের কথা বলছেন। আমরা শুধু চাই, ওঁরা কথা রাখুন।
সাম্প্রতিক মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৮৮ আসনবিশিষ্ট সভায় ১০৫টি আসন পায়, শিবসেনা জেতে ৫৬টিতে। কংগ্রেস ও এনসিপি পায় যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৪টি আসন। ন্যূনতম সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৪৪জন বিধায়ক। শিবসেনার দাবি, ক্ষমতা ভাগ করতে হবে ৫০-৫০ ফর্মূলায়। আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদও তাদের চাই। বিজেপি তা মানতে নারাজ। এ নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই রাউত ট্যুইট করে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এত ঔদ্ধত্য দেখাবেন না। সময়ের সমুদ্রে অনেকেই তলিয়ে গিয়েছে!