এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার গতকাল গভীর রাতে তাঁর নিজের বাসভবনে বৈঠকে বসেন শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। উদ্ধবের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে আদিত্য ও দলীয় সাংসদ সঞ্জয় রাউত। জানা যাচ্ছে, তিন দল যে বোঝাপড়ায় পৌঁছেছে, তার মূল সূত্র হল, মুখ্যমন্ত্রী পদ পাবেন সেনার সদস্য, তিনি ৫ বছর ওই পদে থাকবেন। এনসিপি ও কংগ্রেস পাবে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ তাদের প্রার্থী আড়াই বছর করে নিজেদের মধ্যে পদ ভাগাভাগি করে নেবেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সব দফতর কোন দল কী হিসেবে পাবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, দফতর ভাগাভাগি হবে প্রতি ৪ বিধায়ক পিছু ১ মন্ত্রী ধরে। অর্থাৎ শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৬ জন, তারা পাবে ১৪টি দফতর। এনসিপির বিধায়ক ৫৪ জন, তারাও পাবে ১৪টি দফতর। আর কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক, তারা পেতে পারে ১১টি দফতর। বাকি ৩টি দফতর সমানভাবে ভাগাভাগি হবে ৩ শরিকের মধ্যে।
নয়া এই জোটের নাম হতে পারে মহা বিকাশ আঘাদি। প্রথমে জোটের কথা পাকাপাকিভাবে ঘোষণা হবে, তারপর সরকার গড়ার দাবি নিয়ে দেখা করা হবে রাজ্যপাল বি এস কোশিয়ারির সঙ্গে।
এর আগে গতকালই দিল্লিতে কংগ্রেস ও এনসিপি শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হয়, আলোচনা হয় শিবসেনার সঙ্গে জোট বাঁধার যাবতীয় শর্ত নিয়ে। সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত এবিপি আনন্দের কাছে দাবি করেছেন, ডিসেম্বরের আগেই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়বেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী হবেন তাঁদের দলের কেউ, সম্ভবত শনিবারই সরকার গড়ার দাবি করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর আসন এনসিপি, কংগ্রেস ও শিবসেনার মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যেতে পারে বলে যে খবর শোনা যাচ্ছে তা অস্বীকার করেন তিনি।