নয়াদিল্লি: আজ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ‘মৈত্রী সেতু’-র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘আজ বেলা বারোটা নাগাদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী সেতু এবং ত্রিপুরায় একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। ত্রিপুরার উন্নয়নের উপর এই কাজের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ 


ফেনী নদীর উপর ‘মৈত্রী সেতু’ তৈরি করা হয়েছে। ত্রিপুরার সাব্রুম অঞ্চল এবং বাংলাদেশের রামগড়ের অঞ্চলের মধ্যে এই সেতু ১.৯ কিলোমিটার লম্বা। এই সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। জাতীয় সড়ক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন পর্ষদ এই সেতু তৈরি করেছে।



প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবেই ‘মৈত্রী সেতু’ নাম দেওয়া হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্য এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে এই সেতু।’


ত্রিপুরার সাব্রুম অঞ্চল থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ‘মৈত্রী সেতু’ চালু হওয়ার ফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পথ সুগম হবে।


আজ ‘মৈত্রী সেতু’-র উদ্বোধনের পাশাপাশি ত্রিপুরার উনকোটি জেলার সদর শহর কৈলাসহরের সঙ্গে খোয়াই জেলার সদর শহরের সংযোগকারী ২০৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প পথ তৈরি হবে। ২০৮ নম্বর জাতীয় সড়ক তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় সড়ক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন পর্ষদকে। এই সড়ক তৈরির খরচ ধরা হয়েছে ১,০৭৮ কোটি টাকা। এছাড়া ত্রিপুরায় আরও কয়েকটি সড়ক, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি হওয়া ৪০৯৭৮টি বাড়ি উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আগরতলার পুরনো মোটরস্ট্যান্ডে মাল্টি লেভেল কার পার্কিং এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।