জেএনইউ: এবিভিপিকে কালিমালিপ্ত করতে নোংরা প্রচার, সত্যিটা সামনে আনল দিল্লি পুলিশ, বললেন জাভরেকর, ‘বাম নকশা উন্মোচিত হল’, ট্যুইট স্মৃতির

এদিন দিল্লি পুলিশ সাংবাদিক বৈঠকে সাম্প্রতিক হাঙ্গামা, হিংসায় জড়িত সন্দেহে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সহ ৯ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানায়। যদিও রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউয়ে ঢুকে মুখোশধারী হামলাবাজদের তান্ডবে পড়ুয়া, শিক্ষক সমেত প্রায় ৩৬ জনের জখম হওয়া নিয়ে কিছু বলেনি তারা। সেই হামলায় ঐশীর মাথা ফাটে।

Continues below advertisement
নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) গত সপ্তাহের হামলার ব্যাপারে দিল্লি পুলিশ সাংবাদিক বৈঠক করে মূলতঃ বাম ছাত্রছাত্রীদেরই অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর দাবি করলেন, প্রমাণ হয়ে গেল, গত ৫ দিন ধরে অহেতুক বিজেপি, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদকে (এবিভিপি) টেনে আনা হয়েছে। এবিভিপিকে কালিমালিপ্ত করতে নোংরা প্রচার চালানো হয়েছে। দিল্লি পুলিশই সত্যিটা প্রকাশ করল। এদিন দিল্লি পুলিশ সাম্প্রতিক হাঙ্গামা, হিংসায় জড়িত সন্দেহে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সহ ৯ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানায়। যদিও রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউয়ে ঢুকে মুখোশধারী হামলাবাজদের তান্ডবে পড়ুয়া, শিক্ষক সমেত প্রায় ৩৬ জনের জখম হওয়া নিয়ে কিছু বলেনি তারা। সেই হামলায় ঐশীর মাথা ফাটে। দিল্লি পুলিশের দাবিকে হাতিয়ার করে আসরে নামেন জাভরেকর। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই বলেছে, পুলিশের প্রেস কনফারেন্সে প্রমাণ হল, এবিভিপি, বিজেপি ও অন্যরা দোষী বলে গত পাঁচদিন ধরে যে ধুয়ো তোলা হয়েছে, তা সত্যি নয়। বাম ছাত্র সংগঠনগুলিই আগে থেকে হামলার ছক কষেছিল, সিসিটিভি অচল করে রেখেছিল, সার্ভার নষ্ট করেছিল। জাভরেকর আরও বলেন, জেএনইউ পড়ুয়াদের এখন উচিত আন্দোলনে ইতি টেনে পড়াশোনা চলতে দেওয়া, তদন্ত সহযোগিতা করা। সিপিআই, সিপিএম, আপের মতো দল লোকসভা ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন পড়ুয়াদের নিজেদের স্বার্থপূরণে ব্যবহার করছে।
জাভরেকরই শুধু নন, আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও ট্যুইট করে দিল্লি পুলিশের দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাম নকশা’ ‘উন্মোচিত হল’, বামেরা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করছে বলেও মন্তব্য করেন। লেখেন, জেএনইউয়ে বাম চক্রান্ত ফাঁস। ওরা জনতার তান্ডবে নেতৃত্ব দিয়েছে, করদাতাদের অর্থে কেনা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে, নতুন পড়ুয়াদের অন্তর্ভুক্তিতে বাধা দিয়েছে, ক্যাম্পাসকে ব্যবহার করেছে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষেত্র হিসাবে। সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (অপরাধ দমন) জয় তিরকে জানান, গত ৫ জানুয়ারি ঐশী সমেত অনেকে ক্যাম্পাসে হামলা চালান। তিনি চুনচুন কুমার, পঙ্কজ মিশ্র, ওয়াসকর বিজয়, সুচেতা তালুকদার, প্রিয়া রঞ্জন, দোলন সাবন্ত, যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ, বিকাশ পটেলের নামও সন্দেহভাজন হিসাবে জানান। এদিন এবিভিপি ৫ জানুয়ারির ঘটনার নিন্দায় ক্যাম্পাসে মিছিল করে, যেখানে ‘লাল সন্ত্রাস নিপাত যাক’, ‘পড়াশোনা ফিরিয়ে দাও’ জাতীয় ব্যানার ছিল। সবরমতী টি পয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট অবধি মিছিল যায়।
Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola