যন্ত্র থেকে বিস্ফোরণ? নাকি নাশকতা? মালদার সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণের কারণ কী? কেন চলে গেল পাঁচ-পাঁচটা প্রাণ? তা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-কে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ছাড়া সত্য সামনে আসবে না। মালদায় এর আগেও টোটোয় বিস্ফোরণ হয়েছিল, সরকারের প্রশাসনের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, এরা শুধু বিজেপিকে আটকাতে ব্যস্ত।’
বিজেপির দাবি হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘ওরা রাজনীতি করতেই এনআইএ-র দাবি করে, পুলওয়ামার সময় এনআইএ কোথায় ছিল? যন্ত্র থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।’
সুজাপুরে বিস্ফোরণ নিয়ে কার্যত বিজেপির সুরেই সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, বোমা থেকেই এই বিস্ফোরণ। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, মালদার সুজাপুরে বিস্ফোরণে এতজনের মৃত্যুর ঘটনায় আমি বিস্মিত। পুলিশ সুপারের বক্তব্য অনুযায়ী ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও পাঁচজন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ অবৈধভাবে বোমা তৈরি বন্ধ করা হোক এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।
যদিও বোমা থেকে বিস্ফোরণের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে ট্যুইট করে দাবি করা হয়েছে, সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণের নেপথ্যে উৎপাদন সংক্রান্ত বিষয় জড়িত। কোনওভাবেই সেখানে বোমা তৈরি হত না। কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে সেটাই অনেকে দাবি করছেন।
বিস্ফোরণে কারণ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করছে বাম-কংগ্রেস। সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা চাই উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হোক। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক রাজ্যের তরফে।’ মালদা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস বলেছেন, ‘এই বিস্ফোরণে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে, নিরপেক্ষ এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করা হোক।’
সব মিলিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে কারখানার বিস্ফোরণ ঘিরেও তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি!