স্বামী জানিয়েছেন, ১৯৬২ সালে চিনের সঙ্গে যুদ্ধে হারের পর সে সময়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভি কে কৃষ্ণ মেননের পদত্যাগের দাবি ওঠে। কিন্তু নেহরু সেই দাবি খারিজ করে দেন, বলেন, মেনন ইস্তফা দিলে তিনিও ইস্তফা দেবেন। জবাবে কংগ্রেসের সংসদীয় দল এক বাক্যে বলে দেয়, তাহলে আপনিও ইস্তফা দিন। স্বামীর দাবি, এরপর নেহরু পিছিয়ে যান ও মেননকে বহিষ্কার করেন। কিন্তু এই বিতর্কের জেরে আগের জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেন তিনি।
২০১৯-এর ভোটের আগে জনপ্রিয়তায় ধাক্কা লাগার কথা বলে স্বামী যতই জেটলিকে সরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বার্তা পৌঁছনোর চেষ্টা করুন, বিজেপি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, মাল্য বিতর্কে অরুণ জেটলির পদত্যাগের প্রশ্ন নেই। তবে কংগ্রেস জেটলির ইস্তফা চেয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। দলীয় সভাপতি রাহুল গাঁধী দাবি করেছেন, মাল্যর দাবির তদন্ত হোক, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিন জেটলি।
৯০০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ খেলাপি বিজয় মাল্য দাবি করেছেন, দেশ ছাড়ার আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়, তখন তিনি জেটলিকে মিটমাটের প্রস্তাব দেন। এই অভিযোগ খারিজ করে দেন জেটলি। কিন্তু কংগ্রেসের পি এল পুনিয়ার অভিযোগ, তিনি নিজে জেটলিকে মাল্যর সঙ্গে সংসদে দীর্ঘ কথাবার্তা বলতে দেখেছেন।