নয়াদিল্লি: বিজয় মাল্যকে নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এবার টার্গেট করলেন সিবিআই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ২০১৬-য় দেশ ছাড়ার আগে তিনি তত্কালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বকেয়া ব্যাঙ্কঋণের বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য আপস প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে লন্ডনে দাবি করে শোরগোল ফেলেছেন লিকার ব্যারন মাল্য। কংগ্রেস, বিজেপি উভয়েই প্রাক্তন কিংফিশার কর্ণধারকে মদত দেওয়ার অভিযোগে আঙুল তুলছে পরস্পরের দিকে।
রাহুল আজ ট্যুইট করেন, মাল্যর মহান পলায়নে সাহায্য করেছে সিবিআই। তাঁকে আটকানোর নোটিশকে তারা সন্তর্পণে বদলে দিয়েছিল শুধুমাত্র ইনফর্ম করার জন্য। সিবিআই যেহেতু সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রিপোর্ট করে, অতএব এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না যে, এরকম এক বিতর্কিত, হাইপ্রোপাইল মামলায় তারা প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি না নিয়েই লুকআউট নোটিস বদলে দিয়েছে!





গতকাল রাহুল দাবি করেন, মাল্যকে চুপিসারে লন্ডনে পালানোর সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে অরুণ জেটলি যা বলছেন, তা মিথ্যা। মাল্যের সঙ্গে জেটলির সখ্যের অভিযোগ তুলে রাহুল দাবি করেন, ইস্তফা দিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। মাল্যকে তিনি পালিয়ে যেতে দিয়েছেন। পাল্টা কেন্দ্রের শাসক দল মাল্যের ডুবন্ত কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে বাঁচাতে ইউপিএ, গাঁধী পরিবার ভাল ডিলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, মাল্য গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে ব্যাঙ্কে ফোন করে যাবতীয় নিয়মনীতি ভেঙে তাঁকে লোনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে ইউপিএ সরকার।
জেটলি মাল্যের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিযোগ খারিজ করে তাঁকে দেখা করার সময়ই দেননি বলে দাবি করলেও গতকাল কংগ্রেস নেতা পি এল পুনিয়া জানান, মাল্য ভারত ছাড়ার আগের দিন ২০১৬-র ১ মার্চ তাঁকে সংসদের সেন্ট্রাল হলে জেটলির সঙ্গে ১৫-২০ মিনিট বৈঠক করতে দেখেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মাল্যের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর আদালত স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া সহ একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া বিপুল ঋণ শোধ না করায় ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই তিনি ভারত ছাড়েন। লন্ডনের আদালত তাঁকে প্রত্যর্পণের মাধ্যমে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ১০ ডিসেম্বর রায় দেবে।