নয়াদিল্লি ও কলকাতা: আজ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক। তার আগে গতকাল দিল্লিতে তিন কংগ্রেস নেতা কমলনাথ, আনন্দ শৰ্মা এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূল নেত্রী। আগামী লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধিতার লক্ষ্যে কি কাছাকাছি আসবে কংগ্রেস ও তৃণমূল? তুঙ্গে জল্পনা।
বিধানসভা ভোটে বামদের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বৈরিতা ভুলে ফের কাছাকাছি আসতে চলেছে দু’পক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুরে, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কমলনাথ, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ আনন্দ শৰ্মা এবং সন্ধেয় কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিঙভির সঙ্গে বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আটের দশকে রাজীব গান্ধীর হাত ধরেই জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান!তারপর অবশ্য গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে।কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল তৈরি করে, আজ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি বিরোধী অন্যতম প্রধান মুখ।
২০১৮ সালের ২৮ মার্চ দিল্লিতে শেষবার মুখোমুখি হন সনিয়া-মমতা।এবারের বৈঠকের আগে তৃণমূল নেত্রীর গলায় বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের ডাক।
তাঁর এই ডাককে কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, শূন্যকে শূন্য দিয়ে গুণ করলে শূন্যই হয়, কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে, ওদের গেল কি গেল না, তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না।
বিজেপি বিরোধী জোটের মুখ কে? এ ব্যাপারে মমতা বলেছেন, দেশ নেতৃত্ব দেবে, আমরা অনুগামী।
বুধবার দুপুর ১টায় সুখেন্দুশেখর রায়ের বাসভবনে তৃণমূলের সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেখা হতে পারে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার ও শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের সঙ্গেও।