সিএবি-র সমর্থনে তিনি বলেন, নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল সম্পর্কে বিরোধী দলগুলির যুক্তি, বক্তব্য ভুল, বিভ্রান্তিকর, বিকৃত। কাউকে বাদ দেওয়ার জন্য এই বিল নয়। গত সাত দশক ধরে ভারতে আসা সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভুক্ত করাই এর উদ্দেশ্য। রাম মাধব আরও বলেন, এটা ঐতিহাসিক সত্য যে, দেশভাগের পর ও বাংলাদেশ সৃষ্টির সময় হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ ভারতে চলে এসেছেন। দুটি ক্ষেত্রেই আমরা তাঁদের সবাইকে ঠাঁই দেওয়ার স্পষ্ট অঙ্গীকার করেছি।
সংখ্যালঘুদের বাদ দেওয়া নয়, বরং অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যেই এই বিল, সওয়াল করেন রাম মাধব। বলেন, আগের সরকারগুলির অসমাপ্ত কাজ আমরা সম্পূর্ণ করছি। শুধু ওইসব দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের জন্যই এই বিল। তাঁরা এদেশে এসে নাগরিকত্ব চাইতে পারেন। আর কাউকে আমরা চিহ্নিত করছি না। এইসব দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যেসব লোকজন ভারতে এসে গত পাঁচ বছর ধরে বসবাস করছেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারবেন। আমরা অনেককেই শরণার্থীর মর্যাদা দিতে রাজি। শ্রীলঙ্কা. পাকিস্তানের উদ্বাস্তুরাও, যেমন বালুচ লোকজন আছেন। তবে ওটা অন্য ব্যাপার।
সিএবি ঘিরে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির আশঙ্কা, উদ্বেগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ওখানকার সব গোষ্ঠীর সঙ্গেই বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওদের সঙ্গে উনি ১০০ ঘন্টার ওপর কথা বলেছেন, ওদের আশ্বস্ত করেছেন যে, বিলটি ওদের জনবিন্যাস, সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য বা সংস্কৃতির ওপর কোনও ক্ষতিকর প্রভাবই ফেলবে না।