নয়াদিল্লি: দেহব্যবসায় নামতে অস্বীকার করায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে কলকাতা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক যুবককে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে এর আগে পশ্চিমবঙ্গে নারীপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। এবার দিল্লিতে খুনের অভিযোগ উঠল।

দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র আর্য জানিয়েছেন, ধৃত যুবকের নাম জলিল শেখ (২৭)। তার সঙ্গে ২০১৪ সালে ফতেমা সর্দারের বিয়ে হয়। প্রথম স্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে থাকলেও, ফতেমাকে নিয়ে দিল্লির সাগরপুরে থাকত জলিল। সে দেহব্যবসায় নামার জন্য ফতেমার উপর চাপ সৃষ্টি করছিল। ফতেমা রাজি না হওয়ায় ৫ অগাস্ট তাঁকে খুন করে দেহ কম্বলে মুড়ে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে পুড়ে সেটি এক জায়গায় ফেলে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যায় জলিল। ৬ অগাস্ট ফতেমার দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত। ফতেমার পরিচয় জানার জন্য তাঁর ছবিও প্রকাশ করে দিল্লি পুলিশ।

১৭ অগাস্ট পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক ব্যক্তি দিল্লি পুলিশকে ফোন করে জানান, তিনি ফতেমার ছবি দেখে চিনতে পেরেছেন। তিনি মৃতার আত্মীয়। তাঁর বিষয়ে আরও কিছু তথ্য দেন ওই ব্যক্তি। এরপর জলিলের খোঁজে কলকাতায় আসে দিল্লি পুলিশের একটি দল। বুধবার অভিযুক্ত যুবক কলকাতার একটি রেলস্টেশনের কাছে মোটর সাইকেল বিক্রি করতে আসে। তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়।