কলকাতা: তাঁর বয়স মাত্র ৩৬। কিন্তু তাঁর কর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি সারা বিশ্ব জুড়ে। তাঁর তৈরি প্ল্যাটফর্ম বসুধৈব কুটুম্বকম-কে বাস্তব রূপ দিয়েছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংকে এক নতুন সংজ্ঞা দিয়েছেন মার্ক জুকেরবাগ। ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অ্যাপল, অ্যামাজন, গুগল, মাইক্রোসফটের সঙ্গে পৃথিবীর টপ ফাইভ টেক-কোম্পনির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ফেসবুক।
আজ মার্ক জুকেরবার্গের জন্মদিন। তাঁর জীবনযাত্রা যে কাউকে অনুপ্রাণিত করবে।
তখন তিনি হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ছাত্র। চার বন্ধু এডুয়ার্ডো, ডাস্টিন, ক্রিস, অ্যানড্রিউ-এর সঙ্গে বসে বার করে ফেললেন একটা নতুন আইডিয়া। 'ফেসম্যাশ'। সেই সময় হইহই ফেলে দিয়েছিল ফেসম্যাশ। এর মাধ্যমে মার্কের বন্ধুরা তাদের বন্ধুবান্ধবদের মুখের তুলনা করতেন আর ঠিক করতেন কে বেশি সুন্দর ( পড়ুন, হট)।
যদিও ফেসম্যাশের কপালে জুটেছিল প্রচুর সমালোচনা। কিন্তু এর ভেতরেই লুকিয়ে ছিল ফেসবুকের বীজ।
এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪ এ ফেসবুকের পয়লা খসড়া তৈরি হয় শুধুমাত্র হাভার্ডের পড়ুয়াদের জন্য। তারপর সেপ্টেম্বরেই বিশ্বের সবার জন্য খুলে যায় ফেসবুকের মলাট। ১৩ বছরের উপর যে-কেউ তখন থেকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারত ফেসবুকে। এখন সেই ফেসবুকেরই ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২.৬ বিলিয়ন।
জীবনের যে কোনও মুহূর্ত, আনন্দ-দুঃখ, বিক্ষোভ-বিপ্লব-প্রতিবাদ, ট্রেন্ড, সবই স্থান পায় জুকেরবার্গের ফেসবুকের পাতায়। ফেসবুক যেন আক্ষরিক অর্থেই বিশ্বকে এনেছে মুঠোফোনের ছোট্ট স্ক্রিনে।
৩৬ বছরের এই মানুষটি শুধু একজন বিজনেস টাইকুন নন, কোটি কোটি মানুষের অনুপ্রেরণা। মার্কের একটা কথা এই প্রসঙ্গে বলাই যায়...


'My goal was never to make Facebook cool. I am not a cool person. The biggest risk is not taking any risk... in a world that is changing really quickly, the only strategy that is guaranteed to fail is not taking risks.'

'ফেসবুককে 'কুল' প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা কোনওদিনই আমার স্বপ্ন ছিল না। আমি 'কুল' ব্যক্তিত্বের মানুষ নই। কোনও ঝুঁকি না নেওয়াই সবথেকে বড় ঝুঁকি। ... দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে কোনও ঝুঁকি না নেওয়ার স্ট্র্যাটেজি অবশ্যম্ভাবী অসফল হয়। '