কলকাতা: ৫ দিন পর দক্ষিণ কলকাতার আলিপুর জেল থেকে ছাড়া পেলেন হাওড়ার বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা শর্মা। বুধবার সকাল ৯টা ৪০ নাগাদ তাঁকে মুক্ত করে জেল কর্তৃপক্ষ। প্রিয়ঙ্কার পরিবারের দাবি, মঙ্গলবারই জামিন হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবেই তাঁকে আরও ১৮ ঘণ্টা জেলবন্দি করে রেখেছে। একই অভিযোগ করেছেন প্রিয়ঙ্কা নিজেও।





প্রিয়ঙ্কার দাদা রাজীব জানিয়েছেন, “গতকাল আমরা যখন আলিপুর জেলে যাই, আমাদের বলা হয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের হার্ড কপি না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা প্রিয়ঙ্কাকে ছাড়বেন না। সে কারণেই আমাকে দিল্লি আসতে হয়েছে হার্ড কপি আনতে। আর তার ফলেই দেরি হয়েছে।” জেল কর্তৃপক্ষ প্রিয়ঙ্কাকে আরও দীর্ঘ সময় আটকে রেখে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অমান্য করেছে, এমনও অভিযোগ রয়েছে প্রিয়ঙ্কার দাদা রাজীবের। উল্লেখ্য, প্রিয়ঙ্কার জামিন মামলার শুনানিতে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। বুধবার শীর্ষ আদালত জানায়, বিজেপি নেত্রীকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রেও কেন গড়িমসি করা হল, সে বিষয়েও রাজ্য প্রশাসনকে কার্যত ভর্ত্সনা করেছে আদালত।


জেল থেকে বেরিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। তাঁর কোনও অনুশোচনাও নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃতি ঘটনায় অভিযুক্ত হাওড়ার বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী প্রিয়ঙ্কা শর্মা সাফ জানিয়েছেন, তিনি কোনও ক্ষমা চাইবেন না। যদিও শীর্ষ আদালত তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে। তবে ক্ষমা চাইতেই হবে, নতুবা জামিন মিলবে না, এমন কোনও শর্তও ছিল না। প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে জোর করে ক্ষমা চাইয়ে নেয়। তাঁর আরও অভিযোগ, জেলের মধ্যে তাঁর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাঁর পরিবারকেও যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের মেট গালা ইভেন্টে অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার একটি ছবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ বসিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ওই বিকৃত ছবি পোস্ট করেন প্রিয়ঙ্কা শর্মাও। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। ৫ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর বুধবার জামিনে মুক্ত হয়েছেন এই বিজেপি নেত্রী।