নয়াদিল্লি: নির্বাচন পর্বের মাঝপথে কংগ্রেসকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দল ছাড়লেন জাতীয় মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী। কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের আহ্বায়কও ছিলেন তিনি। সব পদ থেকে সরে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে গত বছর কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত কিছু কর্মীকে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্তে নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েই দল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি শিবসেনায় যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে।
কংগ্রেসে থাকাকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলে দলীয় পদের উল্লেখ করতেন প্রিয়ঙ্কা, লিখতেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেস মুখপাত্র। কিন্তু আজ সকালে তার উল্লেখ ছিল না, পরিচয় বদলে দিয়েছেন তিনি।



বুধবারই তিনি ট্যুইট করেন, দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে যে, যারা দলের জন্য ঘাম-রক্ত ঝরাচ্ছেন, তাঁদের চেয়ে কংগ্রেসে অগ্রাধিকার পাচ্ছে লুম্পেন গুন্ডারা! দলের জন্য গালিগালাজ, খারাপ ব্যবহার সহ্য করেছি, তবুও দলের ভিতরেই যারা আমায় চোখ রাঙিয়ে হুমকি দিয়েছে, তাদের গায়ে একটি আঁচড়ও পড়ল না, রেহাই পেয়ে গেল।



গত সেপ্টেম্বর কংগ্রেস প্রিয়ঙ্কাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ওই দলীয় কর্মীদের বের করে দেয়। মথুরায় রাফাল ডিল নিয়ে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন, তখনই তাঁর সঙ্গে তারা দুর্ব্যবহার করে বলে দাবি প্রিয়ঙ্কার। কংগ্রেস তাদের বহিষ্কার করলেও এখন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবং সম্ভবত স্থানীয় কর্মীদের খুশি করতে গত ১৫ এপ্রিল দলে ফেরায়। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের ‘শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি’ চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানায়। কমিটির সদস্য ফজলে মাসুদের সই করা চিঠিতে বলা হয়, আপনারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার মতো কিছু করবেন না, এটাই আশা করা হচ্ছে। তখনই প্রিয়ঙ্কা আপত্তি করেছিলেন, যদিও কোনও ফল হয়নি বলে তাঁর দাবি। সূত্রের খবর, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সবুজ সঙ্কেত নিয়েই বহিষ্কৃতদের দলে ফেরানো হয়েছে।
সম্প্রতি প্রিয়ঙ্কা সোস্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং করছিলেন অমেঠিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে ‘কিউকি মন্ত্রী ভি কভি গ্র্যাজুয়েট থি’ কটাক্ষের জন্য।