আমদাবাদ: ভারত পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ঢুকে যে বালাকোট বিমান হানা চালিয়েছে তাতে কোনও পাক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেনি। মারা যায়নি সেনাও। বললেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। হতরা সকলেই জঙ্গি ছিল বলে তিনি দাবি করেছেন।


আমদাবাদে বিজেপির মহিলা কর্মীদের সভায় সুষমা বলেন, পুলওয়ামা সন্ত্রাসের বদলা নিতে বালাকোটে পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হয় ভারতীয় সেনাকে। তবে পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া হয়, এতে যেন কোনও পাক নাগরিক বা সেনার মৃত্যু না হয়। আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে বলা হয়েছিল, এই হামলা শুধু আত্মরক্ষার জন্য, তাই পাকিস্তানের কোনও নাগরিক বা সেনার ক্ষতি যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল।

সুষমা জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া ছিল, শুধু জৈশ ই মহম্মদ জঙ্গিদের এই হানায় টার্গেট করা হবে। তারা পুলওয়ামা সন্ত্রাসের দায়িত্ব নিয়েছে, তাই পাল্টা হানাও হবে তাদের ওপর। সেনাকে যা বলা হয়, তারা তাই করে, জৈশের ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে নিরাপদে ফিরে আসে তারা।

১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ান বোঝাই কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জৈশ ই মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠী। এতে ৪০ জন জওয়ানের প্রাণহানি ঘটে। পাল্টা হানায় ২৬ তারিখ পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ড বালাকোটে ঢুকে জৈশের জঙ্গি ক্যাম্প উড়িয়ে দেয় ভারত। সুষমা জানিয়েছেন, গোটা আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই বিমানহানায় ভারতকে সমর্থন করেছে, ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার মেনে নিয়েছে তারা।

তাঁর ব্যবহার করা ‘নাগরিক’ শব্দটি নিয়ে কিছু ধোঁয়াশা তৈরি হয় কিন্তু সরকারি আধিকারিকরা স্পষ্ট করে দেন, নাগরিক বলতে সুষমা নিরস্ত্র পাক নাগরিকদের বুঝিয়েছেন, জঙ্গিদের নয়।