নয়াদিল্লি: জ্বালানি ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে যখন নাভিশ্বাস অবস্থা সাধারণ মানুষের, সেই সময় মধ্যবিত্তের নিত্য-যন্ত্রণা আরও একধাপ বাড়ল রবিবার থেকে। জোগান-সংক্রান্ত সমস্যার জন্য দেশব্যাপী দুধের দাম বাড়াল দুই বৃহৎ দুগ্ধ প্রস্তুতকারী সংস্থা আমুল ও মাদার ডেয়ারি। একদিকে মাদার ডেয়ারি লিটারে ৩ টাকা দাম বাড়াল। অন্যদিকে, আমুল দাম বাড়াল ২ টাকা লিটারপ্রতি দরে। সবক্ষেত্রেই রবিবার থেকেই বর্ধিত দাম কার্যকর করা হল।
গতকালই মাদার ডেয়ারি ঘোষণা করেছিল, জোগান কমে যাওয়া ও দুধ তৈরির খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিক্রির দাম বাড়াতে হয়েছে। পলি-প্যাক হোক বা টোকেন-- সবক্ষেত্রেই দুধের দাম লিটারপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যেমন, টোকেন দুধের দাম ২ টাকা বেড়ে হয়েছে ৪২ টাকা প্রতি লিটার। পলিপ্যাকে টোনড ও ডবল টোনড দুধের দাম লিটারে তিন টাকা বেড়ে হল যথাক্রমে ৪৫ ও ৩৯ টাকা। আবার, ফুল ক্রিম দুধের দাম ২ টাকা বেড়ে হল লিটারে ৫৫ টাকা। হাফ-লিটার ফুল ক্রিম দুধের দাম একটাকা বেড়ে হল ২৮ টাকা। কাউ মিল্কের দাম ৩ টাকা বেড়ে হল ৪৭ টাকা প্রতি লিটার।
মাদার ডেয়ারির তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার ফলে পশুখাদ্যের দাম বেড়েছে। ফলে, আগের তুলনায় এখন গো-পালকদের বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ কাঁচা দুধের দাম বেড়ে গিয়েছে। আবার, শীতকালে দুধের মোট উৎপাদনও কমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে দাম বাড়াতে হয়েছে। মাদার ডেয়ারি আরও জানিয়েছে, গত কয়েকমাসে গো-পালকদের লিটারে ৬ টাকা হারে দাম বাড়াতে হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ অধিক বৃদ্ধি। সংস্থার দাবি, দুধ বিক্রি করে হওয়া উপার্জনের ৮০ শতাংশই চলে যায় কাঁচা দুধ কিনতে।
দেশের অপর অন্যতম বৃহৎ সংস্থা আমুল জানিয়েছে, তারা সারা দেশে ২ টাকা হারে সব ধরনের দুধের দাম বাড়িয়েছে। যেমন, আমুল গোল্ড ৫০০ মিলির দাম হয়েছে ২৮ টাকা। সম পরিমানের আমুল তাজার দাম ২২ টাকা। তারাও জানিয়েছে, গো-পালকদের বেশি দাম দিতে হচ্ছে। ফলে, দুধ প্রস্তুত প্রক্রিয়ার খরচ বেড়েছে। এরসঙ্গেই তারা যোগ করে, খাদ্যের গড় মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় দুধের এই মূল্যবৃদ্ধি কম।