কংগ্রেসের পোড়খাওয়া নেতা ও মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় এবারের ভোটে হেভিওয়েট প্রার্থীদের অন্যতম ছিলেন। তাঁর বিপরীতে বিজেপির হয়ে দাঁড়ান রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর, যাঁর বিরুদ্ধে মালেগাঁও বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এখন সাধু হলেও বৈরাগ্যানন্দ কিন্তু সাধ্বী প্রজ্ঞার পাশে দাঁড়াননি, উল্টে মধ্য প্রদেশের রাজ ঘরানার সন্তান দিগ্বিজয়ের সমর্থনে রীতিমত যজ্ঞের আয়োজন করেন।
সেই যজ্ঞেই সাধুবাবা ঘোষণা করেন, ভোটে দিগ্বিজয় জিতবেনই। আর যদি হারেন, তবে তার যাবতীয় দায় নিয়ে তিনি সমাধিস্থ হবেন। এভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ায় সন্ন্যাসী সঙ্ঘ নিরঞ্জন আখড়া অসন্তুষ্ট হয়, সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। কিন্তু ভোটের ফল বার হলে দেখা যায়, সব হিসেব নিকেশ উল্টে দিগ্বিজয় হেরে তো গেছেনই, প্রজ্ঞার জয়ের ব্যবধান ৩.৬৪ লাখ! এবার সাধু ঘোষণা করেন, পূর্ব সিদ্ধান্তমত তিনি সমাধিস্থ হবেন। গতকাল দুপুর দুটো এগারো মিনিটে সমাধিস্থ হওয়ার অনুমতি চেয়ে ভোপালের কালেক্টরকে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি পাঠান তিনি।
সহজবোধ্য কারণে কালেক্টর এই প্রস্তাবে সম্মতি দেননি। বরং পুলিশে খবর দেন যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এদিকে সমাধিস্থ হতে গতকাল সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ অসমের কামাখ্যা দর্শন সেরে ভোপাল ফেরেন বৈরাগ্যানন্দ। কিন্তু হোটেল থেকে আর বার হতেই পারেননি, গোটা এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ।
যদিও সাধুবাবার মানসিক জোর এতে কমেনি একটুও। তিনি বলেছেন, যজ্ঞ করে দিগ্বিজয়কে জয় যখন দিতে পারেননি, তখন সমাধি তিনি নেবেনই। সে আজ হোক বা কাল।