২০০৩-এ মুক্তি পাওয়া মুন্নাভাই এমবিবিএস-এ ৭ মিনিটের একটি চরিত্রে অভিনয় করেন বিশাল। তাতেই হয়ে ওঠেন পরিচিত মুখ। এরপর অভিনয় করেন ২০০৫-এর ট্যাঙ্গো চার্লি ও জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল তারক মেহতা কা উল্টা চশমা-তে।
২০১৫-র ৩১ ডিসেম্বর বিশাল তাঁর মা দুর্গা ঠক্করকে বলেন তাঁর সঙ্গে স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স অ্যাওকেনস ছবিটি দেখতে যেতে। সেই শেষবার দুর্গার সঙ্গে তাঁর ছেলের দেখা। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মায়ের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিয়ে মুম্বইয়ের মুলুন্দের ফ্ল্যাট ছেড় বেরিয়ে যান তিনি। রাত একটার সময় বাবা, ব্যবসায়ী মহেন্দ্র ঠক্করকে এসএমএস করেন, পার্টিতে যাচ্ছেন, পরদিন ফিরবেন। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই। ৩ বছর কেটে গিয়েছে, মামলা এগোয়নি এতটুকু।
পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে শেষবার দেখা যায় ১ জানুয়ারি, বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ, ঘোড়বান্দার রোডে, দেখতে পান তাঁর বান্ধবী। তিনি তখন শ্যুটিংয়ের জন্য আন্ধেরি যাওয়ার অটো রিকশা ধরছিলেন। শেষ ফেসবুক পোস্ট ১২টা ১০ মিনিটে, সকলকে জানান নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
তারপর থেকে বিশালের ফোন সুইচড অফ, তা আর একবারও অন করা হয়নি। তাঁর চেহারার সঙ্গে মিল আছে, এমন কারও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও খবর মেলেনি। না এসেছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও তখন থেকে হাত পড়েনি একবারও। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে তারা সন্দেহ করে, বিশালের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে তাঁর বান্ধবীর হাত রয়েছে। কিন্তু তাঁর বক্তব্যে কোনও অসাযুজ্য মেলেনি। তিনি খুন হয়েছেন না অপহৃত, কিছুই বুঝতে পারছে না পুলিশ।
তবে নিখোঁজ হওয়ার আগে বিশালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, অভিযোগ আনেন তাঁরই ওই ‘বান্ধবী’। পুলিশেও নালিশ করেন তিনি কিন্তু মিটমাট হয়ে যাওয়ায় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। ৮ মাস আগে ওই তরুণীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁর কান্দিভালির ফ্ল্যাটে, মৃত্যু সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।
শোনা যাচ্ছে, কাজকর্ম বিশেষ না থাকায় বিশাল সম্ভবত মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় তাঁর ইমেজও খারাপ হয়ে গিয়েছিল।