কলকাতা : হাইকোর্টের নির্দেশেই তদন্ত করছে তারা, কিন্তু এখানে যেরকম পরিস্থিতি তাতে তদন্ত করা সম্ভব নয়, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে এমনটাই জানাল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, আপাতত সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে চলছে শুনানি।
সোমবার সকালে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করার পর থেকে নিজাম প্যালেসে ভিড় জমান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের অফিস ঘেরাওয়ের পাশাপাশি দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হয়ে পরিস্থিতি। যা নিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিবিআইয়ের আবেদন, গ্রেফতারির প্রতিবাদে নিজাম প্যালেসের অফিস ঘেরাও হয়েছে, হুমকি দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। হাইকোর্টের নির্দেশেই তদন্ত করছে সিবিআই, কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে তদন্ত সম্ভব নয়, আদালতে এমনটাই জানায় সিবিআই।
সকালে গ্রেফতার করা হলেও সন্ধের দিকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে জামিন মঞ্জুর হয় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। যার পরই শোনা যাচ্ছিল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে সিবিআই। এদিকে, সকাল থেকে নেতারা নিজাম প্যালেসে আসার পর থেকে এখনও সেখানেই রয়েছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ১২ ঘণ্টা কেটে গেলেও নিজাম প্যালেসের বাইরেই অপেক্ষারত তারা। মাঝে জামিন মঞ্জুর করার খবর শুনে মিষ্টি বিতরণও করেন তারা। যদিও নেতারা নিজাম প্যালেস থেকে না বেরোনো পর্যন্ত সেখান ছাড়তে রাজি নন কর্মী সমর্থকরা।
এদিন সকালে নারদকাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের তিন নেতা-মন্ত্রীকে সিবিআই গ্রেফতার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল এগারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী নিজাম প্যালেসে পৌঁছন। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর আদালতে নারদ মামলার শুনানি যখন শেষের মুখে তখন নিজাম প্যালেস থেকে বেরোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলেননি তিনি। দলের যে নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে এভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়ান মমতা। সেইসঙ্গে সিবিআই বেআইনিভাবে তাঁদের গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।