কলকাতা: এদিন সকালে নারদ-মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের তিন নেতা-মন্ত্রীকে সিবিআই গ্রেফতার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল এগারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী নিজাম প্যালেসে পৌঁছন। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর আদালতে নারদ মামলার শুনানি যখন শেষের মুখে তখন নিজাম প্যালেস থেকে বেরোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলেননি তিনি।


সোমবার সকালে তৃণমূলের তিন বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্রকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে আসে সিবিআই। সেখানে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এই তিনজনের মধ্যে ২ জন আবার রাজ্যের মন্ত্রীও বটে। 
এই ঘটনার কিছুক্ষণপরই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের দাবি, তিনি সিবিআই আধিকারিককে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনজনকে গ্রেফতার করলে তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে। নিজাম প্যালেসের পনেরো তলায় সিবিআইয়ের ডিআইজি-র ঘরে যান মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় নেতা-মন্ত্রীদের বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের ডিআইজিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,আমাকেও গ্রেফতার করা হোক।


দলের যে নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে এভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা। সেইসঙ্গে সিবিআই বেআইনিভাবে তাঁদের গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। 


এদিন গ্রেফতার করা হয় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও।


সকাল থেকে দফায় দফায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নিজাম প্যালেস চত্বর। তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে আনার পরই, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বেলা বাড়তেই নিজাম প্যালেসে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই কাতারে কাতারে বাইরে জড়ো হতে থাকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। দলীয় পতাকা নিয়ে শুরু হয় স্লোগান।যত সময় এগোতে থাকে, তত বাড়তে থাকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ভিড়।শেষে বাধ্য হয়ে নিজাম প্যালেসের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ।পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়, যে, গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী-বিধায়কদের কোর্ট প্রডাকশনের জন্য নিজাম প্যালেসের বাইরে আনা প্রায় অসম্ভব হয় পড়ে। ভার্চুয়াল প্রডাকশনের আবেদন জানায় সিবিআই।