সুরাট: ধর্ষণ মামলায় সুরাটের একটি দায়রা আদালত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর ছেলে নারায়ণ সাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। ২০১৩-তে এক প্রাক্তন মহিলা ভক্তর দায়ের করা মামলায় এই সাজা হয়েছে নারায়ণ সাইয়ের।
অতিরিক্ত দায়রা বিচারপতি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি নির্যাতিতাকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণেরও নির্দেশ দিয়েছেন নারায়ণ সাইকে।
২০১৩ থেকে লাজপোর জেলে বন্দি নারায়ণ সাইয়ের পাশাপাশি এই মামলায় দুই মহিলা সহ তার তিন শাগরেদেরও সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। নারায়ণ সাইয়ের শাগরেদদের বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেকের ১০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
নারায়ণ সাইয়ের গাড়ির চালক রাজকুমার ওরফে রমেশ মালহোত্রকেও ছয় মাস জেলের সাজা দিয়েছে আদালত।
এই মামলায় গত ২৬ এপ্রিল আদালত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৭৭ (অস্বাভাবিক অপরাধ), ৩২৩ (নিগ্রহ), ৫০৬-২ (হুমকি) ধারায় নায়ারণ সাইকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।
এই মামলায় ১১ অভিযুক্তের মধ্যে ২৬ এপ্রিল ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
রাজস্থানে একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আসারামকে ২০১৩ তে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সুরাতের দুই বোন আসারাম ও তার ছেলের বিরুদ্ধে যৌন শোষণের অভিযোগ করেছিলেন।
বড় বোনের অভিযোগ ছিল, আসারাম তাঁকে ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যৌন নিগ্রহ করেছে। অন্যজনের অভিযোগ ছিল, সুরাতে জাহাঙ্গিরপুরা এলাকায় আসারামের আশ্রমে থাকার সময় ২০০২ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত নারায়ণ সাই তাঁর যৌন নিগ্রহ করে।
২০১৩-র ডিসেম্বরে দিল্লি-হরিয়ানার সীমানা থেকে নারায়ণ সাইকে গ্রেফতার করা হয়।