কলকাতা: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। রোজই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এবার যেন দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে নেতাজির ১২৫তম জন্মদিবস পালন ঘিরেও। যে উপলক্ষ্যে আজই কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সকাল থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন তিনি।


আজ নেতাজির জন্মবার্ষিকী। বেলা ১২.১৫ মিনিটে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে নেতাজির মূর্তির সামনে সাইরেন বাজিয়ে হল তাঁর জন্মমুহূর্ত স্মরণ। বাজল শাঁখ। শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে পদযাত্রা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজির জন্মবার্ষিকী পালনে একমঞ্চে থাকবেন মোদি-মমতা। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ২টি গ্যালারির হবে উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রীও। তবে গেলেও লাইনে দাঁড়াবেন না, জানালেন মমতা।

শনিবার সকালে নেতাজি ভবনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা বলেন, 'দয়া ভিক্ষার ওপর নির্ভর করেন না নেতাজি। ভোটের আগে একবার নয়, চিরকাল নেতাজি পরিবারের  সঙ্গে থাকি।' প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়ায় কেন্দ্রের উদ্দেশে তোপ দাগেন তিনি।

নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাজি ভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানোর পর বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'নেতাজি একটা আবেগ৷ তিনি ছিলেন প্রকৃত দেশনায়ক৷ নির্বাচনের আগে একদিন আমি নেতাজি পরিবারের খোঁজ নিই না৷ আমার সঙ্গে তাঁদের ৩৬৫ দিন যোগাযোগ থাকে৷ আমরা বুঝি এই পরিবারটা আমাদের গর্বের৷' নেতাজি ভবনে গিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন, নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে তৃণমূল৷ যদিও সেই দাবি মানা হয়নি৷ জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে যে নেতাজি সবাইকে নিয়ে কাজ করেছিলেন, সেকথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কেন্দ্র নেতাজির জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করলেও তিনি যে তাতে খুশি নন তাও স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, 'পরাক্রম দিবস বুঝি না৷'

নেতাজির জন্মদিনকে কেন্দ্র করে কার্যত কেন্দ্র- রাজ্যের টক্কর শুরু হয়েছে৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নেতাজিকে কেন্দ্রকের বাঙালি আবেগকে অস্ত্র করেই রাজনৈতিক সুফল ঘরে তুলতে মরিয়া শাসক- বিরোধী দু' পক্ষ৷