বীড়: বিতর্কিত রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয়ের চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘আড়ালে’র অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। সোমবার পাওয়ার ওই অভিযোগ খারিজ করে বলেছেন, তিনি ‘কখনওই’ এমনটা করবেন না।
উল্লেখ্য, একটি সংবাদমাধ্যমকে পাওয়ার বলেছিলেন যে, ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফাল যুদ্ধ বিমান ক্রয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে লোকের কোনও সন্দেহ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন না।
পাওয়ারের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করে এনসিপি ছেড়েছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তারিক আনওয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক মুনাফ হাকিম।
রাফাল চুক্তি নিয়ে কংগ্রেস যখন মোদীকে সরাসরি নিশানা করেছে এবং আগামী নির্বাচনে এনসিপি-র সঙ্গে জোট গড়ার চেষ্টা করছে, সেই সময় পাওয়ার ওই মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে পাওয়ার বলেছেন, কেউ কেউ আমার সমালোচনা করে বলছে যে, আমি মোদিকে সমর্থন করেছি। আমি মোদিকে মোটেই সমর্থন করিনি, আগেও করিনি, কখনও করব না।
মরাঠাওয়াড়া অঞ্চলে দলের একটি সভায় এই মন্তব্য করেছেন এনসিপি প্রধান। পাওয়ার বলেছেন, সরকার যুদ্ধবিমান কিনিছে। আমি স্পষ্ট বলছি, প্রতিটি বিমানের দাম কীভাবে ৬৫০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৬০০ কোটি টাকা হল, তার ব্যাখা সরকারের সংসদে দেওয়া উচিত।
এর আগে পাওয়ার সাম্প্রতিক মন্তব্যে মোদীকে আড়াল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এজন্য পাওয়ারের ওই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। যদিও এনসিপি দাবি করেছিল, সংবাদমাধ্যম পাওয়ারের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছে।
পাওয়ার সোমবার রাফাল বিতর্কে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি ফের জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে ৩৬ যুদ্ধবিমানের মূল্য সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন।
প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, ওই যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তিগত তথ্য প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই।
মনমোহন সিংহ সরকারের কৃষিমন্ত্রী পাওয়ার কৃষি সংকট নিয়ে মহারাষ্ট্র ও কেন্দ্র সরকারকে একহাত নিয়েছেন। সেইসঙ্গে পূর্বতন ইউপিএ সরকারের ৭১ হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণ মকুবের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন।