শ্রীনগর: পাকিস্তানে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনার জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দুঃসাহসিক অভিযানের দিনই সকাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তল্লাসি অভিযানে নামল এনআইএ। জাতীয় তদন্ত এজেন্সির সঙ্গে অভিযানে সামিল হয় স্থানীয় পুলিশ, সিআরপিএফও। শ্রীনগরের প্রায় ৯টি জায়গায় তল্লাশি চালায় তারা। তার মধ্যে ছিল পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির ছেলে নঈম গিলানির বাড়িও। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, জেকেএলএফ নেতা ইয়াসিন মালিক, মিরওয়াইজ ওমর ফারুক, সাবির শাহ, আসরফ শেহরাই, জফর ভাটের মতো অন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাড়িতেও হানা দেয় তিন বাহিনী। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান থেকে হাওয়ালা মারফত অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার ব্যাপারেই এই তল্লাশি অভিযান চলে বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্রটি। সকালের আলো ফুটতেই এই নেতাদের বাসভবনের আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে সিআরপিএফের লোকজন। এনআইএ গোয়েন্দারা অভিযান চালাতে ভিতরে ঢোকেন। ঘটনাচক্রে ইয়াসিন মালিক গত শুক্রবার থেকেই নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন। সাবির শাহ ২০১৭-র জুলাই থেকে তিহার জেলে বন্দি।
পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ কনভয়ে জয়েশ-ই-মহম্মদ সন্ত্রাসবাদীর আত্মঘাতী হামসায় ৪০ জওয়ানের মৃত্যুর পর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয় জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়। যদিও বিচ্ছিন্নতাবাদী শিবির থেকে পাল্টা তাদের নেতারা কখনই নিরাপত্তা পেতেন না বলে দাবি করা হয়েছে। এবার সরাসরি শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান।