বেঙ্গালুরু: কেরলে সোনা পাচারের ঘটনার তদন্তভার নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশকে আটক করল এনআইএ। সূত্রের খবর, স্বপ্নার সঙ্গে অপর এক অভিযুক্ত সন্দীপ নায়ারকেও আটক করা হয়েছে। তাঁরা দু’জনই বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলে লুকিয়েছিলেন। স্বপ্নাকে গ্রেফতার করা হবে কি না, জেরার পরেই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


শুক্রবার কেরলে সোনা পাচার চক্রের তদন্তে নেমে ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনআইএ। স্বপ্না ও সন্দীপ ছাড়াও সরিৎ ও ফজিল ফরিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ মাসের ৫ তারিখ ত্রিবান্দাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৪.৮২ টাকার ২৪ ক্যারাট ৩০ কেজি সোনা আটক করেন শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা। এনআইএ ও শুল্ক বিভাগের আধিকারিকদের দাবি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে কূটনীতিবিদদের মালপত্রের মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে আসা হয় ওই সোনা। তিরুঅনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কনস্যুলেটের ঠিকানায় পাঠানো হচ্ছিল সেটি। সরিৎকে গ্রেফতার করেছে কেরল পুলিশ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কনস্যুলেটের এই প্রাক্তন জনসংযোগ আধিকারিকের কাছে সোনা পাঠানো হচ্ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এর আগে একাধিকবার সরিতের কাছে এই ধরনের ব্যাগ বা প্যাকেট এসেছে।

এনআইএ-র তদন্তে এই সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কনস্যুলেট-জেনারেলের দফতরের প্রাক্তন এগজিকিউটিভ সেক্রেটারি স্বপ্নার নাম উঠে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে নথি জাল করে উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে ভারতে সোনা নিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের প্রধান সচিব এম শিবশঙ্করের সঙ্গে স্বপ্নার যোগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। শিবশঙ্করকে সরিয়ে দিয়েছেন বিজয়ন। তবে তাতে বিরোধীরা সন্তুষ্ট নন।