সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানিয়েছেন, ‘এই গণধর্ষণের ঘটনা ভারতের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরা দেশের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। ওরা আইনি প্রক্রিয়ার সুযোগ নিচ্ছে। মুকেশ সিংহ ও বিনয় শর্মার সামনে আর কোনও আইন প্রক্রিয়ার সাহায্য নেওয়ার সুযোগ নেই। তাই ওদের ফাঁসির সাজা কার্যকরের জন্য আদালতের সমন জারি করা উচিত।’
তিহাড় জেলের আইন অনুসারে, এই মামলায় দোষীদের এক-এক করে ফাঁসি দেওয়া যাবে না। কারণ, আদালতের একটি রায়েই ফাঁসি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ফলে ওদের একসঙ্গেই ফাঁসি দিতে হবে। আদালতে তিহাড় জেলের আইন বলেন, তাঁকে নির্দেশ নিতে হবে। এরপর বিচারপতি সুরেশ কাইত তিহাড় জেলের প্রধানের উদ্দেশে নোটিস জারি করেন।
২০১২ সালের ডিসেম্বরের ঘটনার এক বছরের মধ্যে মুকেশ, বিনয়, পবন কুমার গুপ্ত ও অক্ষয় ঠাকুরকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। কিন্তু আইনি জটিলতার ফলে এখনও কার্যকর হয়নি সেই সাজা। দু’বার ফাঁসির দিন ঠিক হয়েও পিছিয়ে গিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি অবিলম্বে ফাঁসির সাজা কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।