নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) নিয়ে যাবতীয় ধন্দের অবসান ঘটাতে এবার মাঠে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বাভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়ে দেন, এনপিআর ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।
শাহ বলেন, এনপিআর-এর মাধ্যমে পাওয়া তথ্যকে কোনও অবস্থাতেই এনআরসি-তে ব্যবহার করা হবে না। কারণ, তা ভিন্ন প্রক্রিয়ায় তৈরি। তিনি এ-ও জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই করেনি।
এনআরসি কার্যকর করা নিয়ে সম্প্রতি অমিত শাহের মন্তব্যে জোর বিতর্ক হয়। তাঁর ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যের মধ্যে যে পরস্পর-বিরোধী, তা হাতিয়ার করে কেন্দ্র তথা বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে বিরোধীরা। এদিন সেই বিতর্কের অবসান ঘটান অমিত। বলেন, মোদিজিই ঠিক। এনআরসি নিয়ে মন্ত্রিসভা বা সংসদ--কোথাও কোনও আলোচনাই হয়নি। তাই এই নিয়ে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই।





এদিনই, ২০২১ জনগণনা ও এনপিআর-কে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অমিত জানান, সেনসাস বা জনগণনা প্রতি ১০ বছর অন্তর হয়ে থাকে। অন্যদিকে, এনপিআর শুরু হয়েছে ইউপিএ সরকারের আমলে। বর্তমান সরকার তা শুধু এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অমিত শাহ বলেন, এনপিআর হল জনসংখ্যার পঞ্জি। অন্যদিকে, এনআরসি হল নাগরিক পঞ্জি। দুটির মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। দুটোর প্রক্রিয়াও আলাদা।





অমিত বলেন, দেশে কত মানুষ বসবাস করছেন, তা এনপিআর-এর আওতাভুক্ত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, এই এনপিআর-এর ওপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়িত হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল -- এই দুই রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, তারা এনপিআর-এ সামিল হবে না। এপ্রসঙ্গে শাহ বলেন, এই প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনীতি হওয়া উচিত নয়। কারণ, তা নাগরিকদের কল্যাণের জন্যই করা।






এদিন শাহ পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তি নাগরিকত্ব খোয়াবেন না। তিনি বলেন, বিষয়টি বুঝতে হয়ত একটু ভুল হয়েছে। হয়ত বোঝাতে কিছু গাফিলতি ছিল। তবে, আমি সংসদেও বলেছি, এখানেও বলছি-- কোনও সংখ্যালঘু মানুষ তাঁর নাগরিকত্ব হারাবেন না।