কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এই আবহেই সোমবার রাজ্যে এসে দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবং বাংলার মানুষের জন্য দিনলেন বড় সুখবর।


মোদি জানালেন, এবার দেড় ঘণ্টার পথ পৌঁছে যাওয়া যাবে মাত্র ৩৫ মিনিটে! সোমবার হুগলির সাহাগঞ্জে ডানলপ ময়দানের জনসভা থেকে ভার্চুয়ালি দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেন, ‘নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো চালু হওয়ায় এবার দেড় ঘণ্টার পথ ৩৫ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যাবে। কলকাতা যাতায়াতের জন্য আধুনিক ও দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রান্সপোর্ট পেয়ে গেল। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলার লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া ও চাকুরিজীবীদের জন্যও বড় দিন।’ মোদি যোগ করেন, ‘দ্রুত উন্নয়নের স্বার্থে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। আগেরবার বাংলায় এসে বাড়িতে বাড়িতে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার পরিকাঠামোর কথা বলেছিলাম। আজ রেল ও মেট্রো সংযোগকে আরও পোক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে। হুগলি ও কলকাতার রেলওয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প শুরু হচ্ছে। বাংলার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অভিনন্দন।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের যে কটা দেশ দারিদ্র্যকে হার মানাতে সফল হয়েছে, তাদের মধ্যে একটা ব্যাপারে খুব মিল। এই সমস্ত দেশ সঠিক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিকাঠামো তৈরি করতে পেরেছে। সম্প্রসারিত রাস্তা, আধুনিক রেল ও বিমান পথ তৈরি করতে পেরেছে। যা পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ। আমাদের দেশেও এই কাজ আগেই শুরু হওয়া উচিত ছিল। তবে হয়নি। আর দেরি নয়। এক মুহূর্তও নষ্ট করলে চলবে না। আধুনিক পরিকাঠামো তৈরিতে মনোনিবেশ করতেই হবে। চাষবাষ, ভ্রমণ ব্যবসা-সহ সমস্ত বিষয়ে জোর দিতে হবে। কর্মসংস্থানের ব্য়বস্থা করতে হবে।‘


মোদি জানান, হাইওয়ে, রেলপথ, জলপথ, সবরকম সংযোগ ব্যবস্থাতেই জোর দেওয়া হচ্ছে গোটা দেশে। বাংলাতেও হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত হচ্ছে। বাংলার সামনে সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে যাচ্ছে। ফ্রেট করিডরের দারুণ সুবিধা লপাবে বাংলা। এই প্রকল্পের একটা অংশ চালু হয়েও গিয়েছে। বাকি অংশও খুব শীঘ্রই চালু হবে। অনেক নতুন উদ্যোগ আসবে বাংলা। কিষাণ রেলের সুবিধা বাংলার ছোট চাষীরাও পাবে। দেশের একশোতম কিষাণ রেল মহারাষ্ট্র থেকে বাংলার শালিমার পর্যন্ত চালানো হয়েছে। ফল, সব্জি, দুধ আর মাছচাষের সঙ্গে যুক্তরা এখন মুম্বই ও পুণের বাজারেও পৌঁছে যাচ্ছে।‘