নয়াদিল্লি: যৌন হেনস্থার অভিযোগের মুখে ইস্তফা কংগ্রেসের ছাত্র শাখা এনএসইউআইয়ের জাতীয় সভাপতি ফৈরোজ খানের। ফৈরোজ অভিযোগ অস্বীকার করলেও এর ফলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার কথা উল্লেখ করে সোমবার ইস্তফা দেন তিনি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী তা গ্রহণ করেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের নেতা ফৈরোজ বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে পার্টির ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি সরে গেলেন। ফৈরোজের নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন ছত্তিশগড়ের এক কংগ্রেস কর্মী। কংগ্রেস তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করে। কমিটি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বললেও এখনও রিপোর্ট পেশ করেনি। প্রথম জুনে ফৈরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান মহিলা কংগ্রেস কর্মী। রাহুলের কাছে দাবি করেন, তাঁকে, তাঁর বোন ও আরও দলীয় মহিলা কর্মীদের ছাত্র সংগঠনে পদ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে যৌন হেনস্থা করেছেন ফৈরোজ। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই। সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় ফৈরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তিনি জানান, নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, প্রাণভয়ে ভীত।
দেশে চলতি মি টু আন্দোলনে একাধিক নামী-দামী লোকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের মধ্যেই ফৈরোজের নাম ওঠে।
একাধিক প্রাক্তন মহিলা সহকর্মীর যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত বিদেশ প্র্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের ইস্তফা চাওয়ায় পাল্টা কংগ্রেসের ওপর চাপ তৈরি হয় ফৈরোজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে। কংগ্রেস সরব হয়েছে আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন নীরব, এই প্রশ্ন তুলে।