নয়াদিল্লি : বিশ্বব্যাপী বিস্ফোরক হারে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন (Omicron) । এরই  মধ্যে সতর্ক করল ভারতের বিশেষজ্ঞরা । তাঁদের একাংশের অনুমান,  ফেব্রুয়ারিতে ভারতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ (Third Wave) দেখা যেতে পারে।


তবে এর সঙ্গে আশার বাণীও শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই থার্ড ওয়েভ যদি আসে, তাহলে তা, এক মাসের মধ্যে হ্রাস পাবে। আইআইটি হায়দরাবাদের এম বিদ্যাসাগর (M Vidyasagar of IIT Hyderabad), ন্যাশনাল কোভিড-১৯ সুপারমডেল কমিটির প্রধান বলেছেন,  ভারতে ওমিক্রনের তৃতীয় তরঙ্গ থাকবে তবে এটি দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়ে হালকা হবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।   ট্র্যাজেক্টোরি ট্র্যাক করে এমন সূত্রের মডেল অনুসারে, ওমিক্রন প্রভাবশালী বৈকল্পিক হিসাবে ডেল্টাকে স্থানচ্যুত করতে শুরু করলে দৈনিক কেসলোড বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের Covid-19 গ্রাফ অনুসরণ করলে সূত্রা মডেল অনুসারে দেখা যাবে, দেশে ওমিক্রন বাড়ছে ও অন্যদিকে কমছে ক্ষয়ংকর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপট। সূত্রা মডেলটি আইআইটি হায়দ্রাবাদের অধ্যাপক এম বিদ্যাসাগর এবং আইআইটি কানপুরের অধ্যাপক মনিন্দা আগরওয়াল তৈরি করেন। ন্যাশনাল কোভিড-১৯ সুপারমডেল কমিটির সদস্যরা বছরের প্রথম দিকে ভারতে কোভি্ডের তৃতীয় তরঙ্গের পূর্বাভাস দিয়েছেন। তাঁদের ধারণা, ওমিক্রন ডেল্টাকে সরিয়ে জায়গা নেবে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত দেখা যেতে পারে স্বল্প সময়ের জন্যই। 

আরও পড়ুন :


স্তন ক্যানসারের কাছে হেরে যাওয়া নয়, হারিয়ে দেওয়ার অদম্য বার্তা অভিনেত্রীর


কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার থেকেই তিনগুণ বেশি সংক্রামক। এর জন্য ওমিক্রন মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন। এই বলে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।  পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরামর্শ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা ও স্থানীয়স্তরে কনটেনমেন্ট জোন করা যেতে পারে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সব রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি পাঠিয়ে এই সতর্কবার্তার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ।  


করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা।  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩১৭ জন। মঙ্গলবার ওই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৩২৬। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১৮ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৫৩।  দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩২৫ জনের।  মোট আক্রান্তের সংখ্যা  ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪৮১।