জয়পুর: আকাশে হেলিকপ্টার উড়ে যেতে একবার এক শিক্ষকের কাছে তাঁর স্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, এমন একটা হেলিকপ্টার ভাড়া করতে কত টাকা খরচ হবে। রাজস্থানের আলোয়ার জেলার স্কুল শিক্ষক সেই দিনই ঠিক করে নিয়েছিলেন যে, স্ত্রীর সেই ইচ্ছা পূরণ করবেন। আর তা হবে তাঁর অবসরের দিনে।
স্কুলে শিক্ষক জীবনের শেষ দিনটাও রমেশ চাঁদ মীনা এসেছিলেন চিরাচরিত পোশাক পরেই। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সোমোতি ও নাতি অজয়। সউরাইয়ে স্কুলের কাছেই অস্থায়ী হেলিপ্যাডে থাকা হেলিকপ্টারে চড়লেন রমেশ চাঁদ মিনা ও তাঁর স্ত্রী ও নাতি। ২২ কিলোমিটার দূরে মালওয়ালি গ্রামের বাড়িতে তাঁরা পৌঁছলেন হেলিকপ্টারে।
৩৪ বছর শিক্ষকতার পর অবসর নিয়েছেন রমেশ চাঁদ মিনা। স্কুলে তাঁকে বিদায় সম্বর্ধনা জানানো হয়। তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রীর ইচ্ছে পূরণের জন্য ৩.৭০ লক্ষ টাকা দিয়ে দিল্লি থেকে ওই হেলিকপ্টার ভাড়া করেছিলেন।
উড়ান ছিল মাত্র ১৮ মিনিটের। কিন্তু তাতে কী! স্বপ্নপূরণের খুশি তো আর সময়ের গণ্ডিতে বাঁধা পড়ে না।
রমেশ চাঁদ মিনা বলেছেন, প্রথমবার হেলিপক্টারে আকাশে ওড়ার এই অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেছেন, ‘একদিন বাড়ির ছাদে স্ত্রীর সঙ্গে বসেছিলাম। একটা হেলিকপ্টার উড়ে যেতে দেখে স্ত্রী বলেছিল, এর ভাড়া কত। ওর ইচ্ছাপূরণের জন্য অবসরের দিন একটা হেলিপক্টার ভাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এটাই আমাদের উড়ানের প্রথম অভিজ্ঞতা। আমরা দারুণ মজা করেছি’।
হেলিপক্টারে যাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করায় রমেশ চাঁদ মিনা জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের দুই সন্তান। তাঁদের একজন শিক্ষক এবং অন্যজন এফসিআই-তে চাকরি করেন।