দিল্লি মনে করছে, ইচ্ছে করে এমনটা করেছে ইসলামাবাদ। পাক প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সে দেশের কার্যনির্বাহী আইন ও তথ্য মন্ত্রী আলি জাফর, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল ও ডেভিড হেডলির সৎ ভাই দানিয়াল গিলানি। কংগ্রেস আবার দাবি করেছে, দানিয়ালকে যে অটলবিহারীর শেষকৃত্যে পাঠানো হচ্ছে, সে খবর নির্ঘাত দিল্লির কাছে ছিল।
দানিয়াল অবশ্য একাধিকবার দাবি করেছেন, সৎ ভাই ডেভিড হেডলি ওরফে দাউদ গিলানির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। ২০০৮-এর ডিসেম্বরে বাবা সৈয়দ সালিম গিলানির শেষকৃত্যে তাঁদের শেষবার দেখা হয়। হেডলির জঙ্গি যোগের ব্যাপারেও কিছুই জানেন না তিনি। মুম্বই হামলার সময় দানিয়াল সে সময়ের পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির অফিসের জনসংযোগ আধিকারিক ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে পাক সরকারের সম্পর্ক এতটাই ভাল, যে মুম্বই হামলার পরেও তাঁদের বাবার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করতে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বাড়ি এসেছিলেন। বছরদুয়েক আগে শুনানি চলাকালীন হেডলি আদালতকে জানায় এ কথা।
দানিয়াল গিলানি এখন পাকিস্তানের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সেন্সর্সের চেয়ারম্যান। কোন ভারতীয় ছবি পাকিস্তানে মুক্তি পাবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাজপেয়ীর শেষকৃত্যে এসে পাক তথ্যমন্ত্রী সৈয়দ আলি জাফর যখন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তিনিও ছিলেন সেখানে। যদিও স্মৃতি স্থলে শেষকৃত্যর সময় ছিলেন কিনা জানা যায়নি।