নয়াদিল্লি: বিজেপি-বিরোধী জোটকে তীব্র কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা দুর্নীতি ঠেকানোর লক্ষ্যে শক্তিশালী সরকার গড়তে চাই। দেশে এখন মহাজোট নামে একটি ব্যর্থ পরীক্ষা চলছে। একটি অক্ষম সরকার গড়ার জন্য সবাই একজোট হচ্ছে। শক্তিশালী সরকার হলে ওদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ওরা শক্তিশালী সরকার চায় না।’


মোদির এই আক্রমণের জবাবে সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াই হবে।’

কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিভিন্ন দল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। অখিলেশ যাদব ও মায়াবতী ঘোষণা করেছেন, তাঁরা উত্তরপ্রদেশে জোট বেঁধে লড়াই করবেন। এই জোটকে আক্রমণ করে মোদি বলেছেন, ‘দুর্নীতি করার লক্ষ্যেই ওরা একটি অসহায় সরকার গড়তে চাইছে। নিজেদের আত্মীয়দের স্বার্থে ওরা এই সরকার চায়। কিন্তু আমরা দুর্নীতি বন্ধ করা এবং সবার উন্নতির লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী সরকার চাই।’

কংগ্রেসের সমালোচনা করে মোদির দাবি, অযোধ্যায় রাম মন্দির সমস্যার সমাধান চায় না কংগ্রেস। এক্ষেত্রে কংগ্রেসের আইনজীবীরাই বাধা দিচ্ছেন। সিবিআই তদন্তের অনুমতি না দেওয়া নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ় সরকারকে আক্রমণ করে মোদি বলেছেন, ‘সিবিআই তদন্তে ভয় কীসের? এই সরকারগুলি কী বেআইনি কাজ করেছে? বছরের পর বছর ধরে ইউপিএ সরকার হেনস্থা করলেও, আমি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন আমরা রাজ্যে সিবিআই-এর প্রবেশে বাধা দিইনি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের তরুণদের মনোবল বাড়াবে। নতুন ব্যবস্থায় অন্য কারও অধিকার খর্ব করা হচ্ছে না। দেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। সরকার ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন মোদি।