বেঙ্গালুরু: হৃদস্পন্দন প্রায় আটকে গিয়েছিল। ঠিক এভাবেই, চন্দ্রযান ২-এর চাঁদের কক্ষপথে ঢোকার মুহূর্তকে ব্যাখ্যা করলেন উচ্ছ্বসিত ইসরো প্রধান কে শিবন।
মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ চাঁদের কক্ষপথে সফলভাবে ঢোকে চন্দ্রযান ২। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যা বলা হয় লুনার অর্বিট ইনসার্শান (এলওআই)। তার আগে, চাঁদের কক্ষপথে মহাকাশযানকে প্রতিস্থাপন করার জন্য চন্দ্রযান ২-এর অনবোর্ড প্রোপালসন সিস্টেমের তরল ইঞ্জিনকে জ্বালিয়ে তার দিশা, দিক ও গতি নিয়ন্ত্রিত করা হয়। শিবন জানান, প্রায় ৩০ মিনিটের মতো আমরা চরম উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছি। হৃদস্পন্দন প্রায় আটকে গিয়েছিল।
আগেই ইসরোর তরফে জানানো হয়েছিল, এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। তবে এমন নয় ইসরো এই প্রক্রিয়া প্রথমবার করছে। এর আগে চন্দ্রযান-১ অভিযানের সময়ও এলওআই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিল। পাশাপাশি, মঙ্গলযানের সময়ও এমওআই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিল।
যদিও, শিবন জানিয়েছেন, এখনই হৃদস্পন্দন কমছে না। উল্টে প্রতিনিয়ত উত্তেজনা বাড়তে থাকবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করবে চন্দ্রযান ২। ওই মুহূর্ত ‘ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ’ হতে চলেছে। কারণ, এর আগে, ইসরো ওই প্রক্রিয়া কখনও করেনি। ফলত, তা ভারতের মহাকাশ-শক্তির একটা পরীক্ষা হতে চলেছে। যদিও, সফট ল্যান্ডিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইসরো। শিবন জানান, প্রচুর পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এখন চাঁদে অবতরণের আগে আরও চারবার চন্দ্রযান ২-এর কক্ষপথের পরিসীমা কমানো হবে। অবতরণের আগে চাঁদের মেরু এলাকার মাত্র ১০০ কিলোমিটার উপর দিয়ে উড়ে যাবে চন্দ্রযান ২। ৭ তারিখ চাঁদের মাটিতে নামবে এই মহাকাশযান।
গত ২২ জুলাই, অর্বিটার, ল্যান্ডার(বিক্রম) ও রোভার(প্রজ্ঞান) নিয়ে জিএসএলভি মার্ক-৩ এম ১ রকেটে চড়ে পৃথিবীর মাটি ছেড়ে চাঁদের দিকে উড়ে যায় চন্দ্রযান ২। গত ১৪ অগাস্ট লুনার ট্রান্সফার অর্বিটে প্রবেশ করে মহাকাশযানটি। অর্বিটারের সময়কাল এক বছর। অন্যদিকে, ল্যান্ডার ও রোভারের সময়কাল এক চন্দ্রদিবস (অর্থাৎ, পৃথিবীর ১৪ দিন)।