ব্রিটেন ও ব্রাজিলে চলা ভ্যাকসিন AZD1222-র ট্রায়ালে অবশ্য মোট কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছে ৭০ শতাংশ। প্রথমে হাফ ডোজ প্রয়োগের সময় পাওয়া যায় ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা, পরে দ্বিতীয় দফার অর্ধেক ডোজ প্রয়োগের পর কার্যকারিতা দাঁড়ায় ৬২ শতাংশ।
যেটিকে উৎসাহজনক ফলাফল দাবি করে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চিফ ইনভেস্টিগেটর অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেছেন, ‘পরীক্ষায় যথেষ্ট ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে বলা যায় এই ভ্যাকসিন পৃথিবীর অনেকের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হবে। পরীক্ষায় পেয়েছি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর এই ভ্যাকসিন।’
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গেই গাটছঁড়া বেঁধে ভারতে ভ্যাকসিন বানানোর কাজ করছে। যে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন বানানোর ক্ষেত্রে AZD1222 ভ্যাকসিনে ব্যবহৃত নমুনা প্রয়োগ করা হবে। পাশাপাশি সেই ফলাফল মাথায় রেখেই এগোনো হবে ভারতে পরবর্তী পরীক্ষার ধাপ। যে কোভিশিল্ডের তৃতীয় তথা পর্যায়ের ট্রায়াল হবে কলকাতার নাইসেডেও।
শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে করোনার প্রকোপও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা চিকিৎসকদের। তাই মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার ও দূরত্ববিধি বজায় রাখার কথা মনে করিয়ে দেওয়া চিকিৎসকরা দ্রুত করোনার ভ্যাকসিনের প্রত্যাশায়। এমন অবস্থায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের সাফল্য ভারতীয়দের জন্য সুখবর।
ইতিমধ্যে মর্ডানা ও ফাইজার-বায়োএনটেক তাদের ভ্যাকসিনের প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা দাবি করেছে। তবে প্রায় মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ সহ একাধিক বিষয়ের জেরে তা ভারতীয়দের দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কোভিশিল্ড ছাড়াও কোভ্যাকসিন ও স্পুটনিক ফাইভের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হবে ভারতে। তারা অবশ্য আশাবাদী আগামী বছরের মাঝামাঝির মধ্যে ২৫ কোটির বেশি ভারতীয়কে দেওয়া যাবে করোনার টিকা।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের জন্য অবশ্য ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেই চলে। যে পরিকাঠামো রয়েছে ভারতে। পাশাপাশি এই ভ্যাকসিনের দামও একেবারে সাধ্যের মধ্যে থাকবে বলেই খবর। অসর্থিত সূত্রের দাবি, ৩ থেকে ৫ ডলার মূল্য হতে পারে কোভিশিল্ডের ডোজের। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মতো।