নয়াদিল্লি: শতাধিক কট্টর আফগান জঙ্গিকে নিয়োগ করে তাদের কাশ্মীরে ঢোকানোর পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান। লক্ষ্য, নাশকতামূলক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে উপত্যকায় অশান্তি সৃষ্টি। এমনই চাঞ্চল্যকর খবর উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রণরেখার ঠিক ওপারে লিপা উপত্যকায় বিভিন্ন লঞ্চপ্যাডে ঘাঁটি গেড়ে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে অন্তত ১৫ জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির দাবি, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানের জঙ্গি-গোষ্ঠীগুলি ভারতের বিভিন্ন শহরে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিকে টার্গেট করতে পারে।
গোয়েন্দাদের দাবি, পাকিস্তানের পরিকল্পনা হল-- কাশ্মীরে একাধিক ও লাগাতার নাশকতা হামলা চালিয়ে আন্তার্জাতিক মহেলর সামনে উপত্যকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির কথা তুলে ধরা। পাশাপাশি, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ফলে সেখানে যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সামনে ভারতকে চাপে ফেলা। ইতিমধ্যেই, বিদেশি মিশনগুলিতে কাশ্মীর-ডেস্ক চালু করেছে পাক বিদেশমন্ত্রক, যেখান থেকে ক্রমাগত ভারত-বিরোধী প্রচার করা হচ্ছে।
সেনা গোয়েন্দার এক সূত্র বলেছে, আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে যে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে প্রায় একশোর বেশি কট্টর জঙ্গিকে কাশ্মীরে ঢোকানোর চেষ্টা চালাতে চলেছে পাকিস্তান। ওই সূত্রের দাবি, জয়েশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাই মুফতি রৌফ আসগর চলতি সপ্তাহের গোড়ায় ভাওয়ালপুরে গোষ্ঠীর সদর দফতরে দলের শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে মূল অ্যাজেন্ডা ছিল-- কাশ্মীরে কট্টর জঙ্গিদের ঢোকানো।
কাশ্মীরে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরই, উস্কানিমূলক মন্তব্য করে চলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকী, তিনি এ-ও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পুলওয়ামার মতো হামলা ফের হতে পারে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান মনে করে, কাশ্মীরের স্থানীয় উগ্রপন্থীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ নেই। পাশাপাশি, ভারতের ব্যাপকহারে সন্ত্রাসদমন অভিযানের ফলে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নেতার অভাব রয়েছে।
সবদিক খতিয়ে দেখে এবার আফগানিস্তান থেকে কট্টর জঙ্গিদের নিয়োগ করে নিয়ে এসেছে পাকিস্তান। এখন তারা নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে ভারতে ঢোকার অপেক্ষায়।