ইসলামাবাদ: গোঁড়া ও রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের ঘরোয়া উড়ানে প্রকাশ্যে চুম্বন যুগলের! বিমানের কর্মী বা সহযাত্রীদের আপত্তিতে ওই যুগল কান দেননি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পাকিস্তানে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ওই উড়ানে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অনেক যাত্রী আবার এক এয়ারহোস্টেসের বিরুদ্ধে ওই যুগলকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনা ঘটেছে এ মাসের ২০ তারিখ। এয়ার ব্লু সংস্থার করাচি-ইসলামাবাদ উড়ানে চতুর্থ সারির আসনে বসেছিলেন অভিযুক্ত যুগল। সেখানেই তাঁরা প্রকাশ্যে চুম্বনে লিপ্ত হন। এই ঘটনা দেখে কয়েকজন সহযাত্রী আপত্তি জানান। তখন এক এয়ারহোস্টেস ওই দম্পতির দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁদের বলেন, অন্যরা আপত্তি জানাচ্ছেন। কিন্তু সে কথায় কান দেননি ওই যুগল। এরপর তাঁদের দিকে কম্বল এগিয়ে দেন ওই এয়ারহোস্টেস। তিনি বলেন, কম্বলের আড়ালে ওই যুগল যা খুশি করতে পারেন। তাতে অন্যদের আপত্তির কিছু থাকবে না। কিন্তু তাতেও রাজি হননি ওই যুগল। উল্টে তাঁরা বলেন, ‘আমাদের যা খুশি করব। আপনি বলার কে?’ এরপর ওই উড়ানে হইচই শুরু হয়ে যায়। শেষে সংশ্লিষ্ট যুগলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ওই উড়ানে ছিলেন আইনজীবী বিলাল ফারুক আলভি। তিনি ওই যুগলের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ওই যুগলের আচরণের নিন্দাও করেছেন বিলাল। এরপরেই পাকিস্তানের অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত যুগল ও উড়ানে থাকা কর্মীদের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউরোপের দেশগুলিতে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশ্যে চুম্বনের রীতি থাকলেও, ভারতীয় উপমহাদেশে এটি সামাজিকভাবে স্বীকৃত নয়। এই রীতি লঙ্ঘন করলে অনেক সময়ই দম্পতি বা যুগলকে সমালোচনা, নিন্দার মুখে পড়তে হয়। পাকিস্তানেও ঠিক সেটাই হয়েছে।