কলকাতা: পঞ্চসায়রে গণধর্ষণের ঘটনায় দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া। দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত নাবালকের বিরুদ্ধে নৃশংস যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল।পঞ্চসায়রের ঘটনাতেও যে নাবালককে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে, লালবাজার সূত্রে দাবি, সেই নাবালকও, অভিযোগকারিণীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত।
ইতিমধ্যে মিলেছে ফরেন্সিক মেডিসিনের রিপোর্ট। পুলিশ সূত্রে খবর, ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিত্সওকরা রিপোর্টে জানিয়েছেন, অভিযোগকারিণীকে সেদিন যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল।
অভিযোগকারিণী প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন, ট্যাক্সিতে দু’জন ছিল। রবিবার পুলিশ, অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালক উত্তম রামকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করেই ওই নাবালকের হদিশ মেলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এরপরই বুধবার নরেন্দ্রপুরের কাঠিপোঁতা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই নাবালককে।
পুলিশ সূত্রে দাবি,ঘটনার দিন রাতে প্রথম থেকেই ট্যাক্সিতে ছিল ওই নাবালক। তার বয়স ১৭।
সেও ট্যাক্সি চালকের সঙ্গে মদ্যপান করছিল। ওই নাবালকই প্রথমে ৩৯ বছরের মহিলাকে যৌন নির্যাতন করে। তারপর নির্যাতন চালায় ট্যাক্সি চালক উত্তম রাম।
গ্রেফতারের পর টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়ে নাবালক এই অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।
সিসিটিভি ফুটেজে যদিও ওই নাবালকের ছবি ধরা পড়েনি। পুলিশ সূত্রে খবর,ট্যাক্সির পিছনের কাচ তোলা ছিল। ওই নাবালকও ট্যাক্সি থেকে সেই সময় নামেনি।
সম্ভবত সেই কারণেই নাবালকের ছবি ধরা পড়েনি সিসিটিভি ফুটেজে। ওই রাতে সিসি ক্যামেরার আওতায় নেই, এমন জায়গায় অভিযুক্ত নাবালককে নামিয়ে দেন ট্যাক্সি চালক উত্তম রাম।
পঞ্চসায়র থানা সূত্রে খবর, ট্যাক্সিচালক উত্তম রামের সঙ্গে কী সম্পর্ক ছিল ধৃত নাবালকের? কীভাবে গোটা ঘটনা ঘটল তা জানতে খতিয়ে দেখা হবে নাবালকের বয়ান।
এরপর তার বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণও।